করোনা-টিকার নিবন্ধনে শিক্ষার্থীদের বাবা-মায়ের জন্ম নিবন্ধন লাগবে না
সরকার আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ১২-১৮ বছরের শিক্ষার্থীদের করোনা প্রতিরোধক টিকার আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছে। এজন্য জন্ম নিবন্ধন তথ্যের ভিত্তিতে সরকারি সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে। এই বয়সীরা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারবে না বলেও সতর্ক করা হয়।
সেক্ষেত্রে টিকার জন্য নিবন্ধন করতে শিক্ষার্থীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বাধ্যবাধকতা তুলে নিয়ে জন্মসনদ দিয়ে নিবন্ধন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জটিলতা এড়াতে শিক্ষার্থীদের জন্মসনদে পিতা-মাতার জন্মসনদের নম্বর দেওয়ার আবশ্যকতাও বাদ দেওয়া হয়েছে।
স্কুলে ভর্তির সময় জন্মসনদ বাধ্যতামূলক করা হলেও অনেক শিক্ষার্থীর তা নেই। ২০০১ সালের পর যারা জন্মগ্রহণ করেছে তাদের জন্মসনদ সফটওয়ারে পিতা-মাতার জন্মসনদের নম্বর দেওয়ার নিয়ম থাকলেও অনেক বাবা-মায়ের সনদ নেই। এসব শিক্ষার্থীদের যত দ্রুত সম্ভব পিতা-মাতার জন্মসনদ করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে গত বুধবার সকল জেলা-উপজেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাকে নির্দেশনা দিয়েছে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়। ডেপুটি রেজিস্ট্রার জেনারেল ওসমান ভূঁইয়ার সই করা এ নির্দেশনায় ১২-১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের দ্রুত টিকার নিবন্ধন করতে বলা হয়।
এসব শিক্ষার্থীদের গত ১২ ডিসেম্বর টিকাদান সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। তার আগেরদিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক সভায় শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে নিবন্ধনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত হয়। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়, সে আলোকে ইতোমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
ওই নির্দেশনায় বলা হয় – জন্ম নিবন্ধন না থাকা বা ১৬ ডিজিটের নিবন্ধন নম্বর থাকাদের পুনরায় নিবন্ধন করতে হবে ৬ জানুয়ারির মধ্যে। বিষয়টি নিশ্চিত করবেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা। ৭ জানুয়ারির মধ্যে টিকা নেওয়ার যোগ্য শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানভিত্তিক তালিকা পাঠাতে হবে সিভিল সার্জন অফিসে। এটি নিশ্চিত করবেন জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসাররা।