করোনা ধ্বংস করবে বাংলাদেশে আবিষ্কৃত নাকের ড্রপ
করোনাভাইরাস ধ্বংসে একটি নাকের ড্রপ উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশের একদল স্বাস্থ্য গবেষক। তবে “বঙ্গসেফ ওরো নাজাল স্প্রে” নামক নতুন এ উদ্ভাবন মাস্ক কিংবা টিকার কোনও বিকল্প নয় বরং পরিপূরক, এমনটি বলছেন তারা।
বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টসের (বিআরআইসিএম) একদল গবেষক, স্বাস্থ্যকর্মী, নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ও প্রযুক্তিবিদদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তৈরি করা হয়েছে এ ড্রপটি। এদিকে, এটিকে নিরাপদ ও কার্যকর বলে দাবি করেছেন তারা।
বিআরআইসিএম এর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক (ডিজি) মালা খান বলেন, “ড্রপটি একটি অণুর দ্বারা প্রস্তুত করা হয়েছে। যা ভাইরাসটি ধ্বংস করে এবং রোগীকে রক্ষার সুযোগ বেড়ে যায়।”
তিনি আরও বলেন, “চোখ, নাক ও মুখের মধ্য দিয়ে মানবদেহে এ ভাইরাসটি প্রবেশ করে। এরপর তা ফুসফুস ও কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সেখানে ভাইরাসটি তিন থেকে চারদিনের মতো অবস্থান করে।”
নাজাল স্প্রেটিকে নাক ও মুখের ভেতর দিয়ে নেওয়ার পর তা তিন থেকে চার ঘণ্টা কাজ করে। এরমধ্য দিয়ে নাক, অনুনাসিক গহ্বর, ও শ্বাসযন্ত্রের পাচনতন্ত্রের জয়েন্টগুলিতে থাকা ভাইরাসটি নিষ্কাশন করতে পারে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, “এমনকি ড্রপটি কোভিড-১৯ এ রোগীর সংস্পর্শে রয়েছেন যারা তাদের জন্য এবং যাদের ভিড়ের ভেতর যেতে হচ্ছে তাদের জন্যও কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।”
এ প্রসঙ্গে গবেষণাটির প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ ডা. মোস্তফা কামাল আরেফিন বলেন, িএটি মাস্ক কিংবা ভ্যাকসিনের বিকল্প নয়। মাস্ক ও ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এ স্প্রেটি অতিরিক্ত সুরক্ষা দেবে।”
বিশ্বের অনেক দেশই এ ধরনের গবেষণা চালালেও প্রথম ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায় শেষ করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে ডা. মামলা একমত পোষণ করে বলেন, “ফ্রান্সে পাঁচজনের ওপর এ ধরনের ড্রপের ট্রায়াল চালানো হয়েছে। তার আগেই আমাদের ট্রায়াল প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।”
ট্রায়াল প্রক্রিয়ায় যারা অংশ নিয়েছেন তাদের মতে, স্প্রেটি নেওয়ার পর তাদের কোনও অসুবিধা হয়নি।