করোনা শনাক্তে গণস্বাস্থ্যের কিট কার্যকর নয়: বিএসএমএমইউ
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্তে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট (র্যাপিড ডট ব্লট) কার্যকর নয় বলে জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া।
তিনি বলেন, এই কিট মাত্র ১১ থেকে ৪০ শতাংশ রোগীর রোগ শনাক্ত করতে সক্ষম। তবে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় এই কিট সহায়তা করতে পারে বলেও তিনি মত দেন।
বুধবার (১৭ জুন) দুপুরে বিএসএমএমইউ-এর মিল্টন হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
বিএসএমএমইউর অধ্যাপক শাহিনা তাবাসসুমের নেতৃত্বাধীন পারফরম্যান্স কমিটি গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে। কমিটি আজ আজ সকালে বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। পরে প্রতিবেদন সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া।
বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য কনক কান্তি বলেন, যেসব এলাকায় পিসিআর সুবিধা নেই সেখানে এটি একটি সহায়ক হতে পারে। “দেশীয় একটি প্রতিষ্ঠানের তৈরি করা কিটের মূল্যায়ন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। যারা এ কিটের আবিষ্কার করেছে তাদের ধন্যবাদ জানাই”।
তিনি জানান ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর বঙ্গবন্ধু মেডিকেলকে এক বছর সময় দিলেও বাস্তবতার নিরিখে এক মাসের মধ্যে গবেষণা শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করে গবেষণা দল।
মোট ৫০৯টি রক্ত স্যাম্পল পরীক্ষার মাধ্যমে এক মাস সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের গবেষণা দলের কার্যক্রম শেষ হয় বলে জানান তিনি।
গণস্বাস্থ্য ১২ই মে প্রথমে দুশোটি কিট দিয়েছিলো পরীক্ষার জন্য। যদিও পরে আবার ১৯শে মে রক্তের পরিবর্তে রোগীর লাল সংগ্রহের অনুরোধ জানান।
এর আগে আজ সকালে করোনাভাইরাস শনাক্তে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কিট কার্যকর কিনা তা নিয়ে পারফরমেন্স কমিটি তাদের প্রতিবেদন দাখিল করে।
প্রসঙ্গত, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট নিয়ে শুরু থেকে অনেক বিতর্কের পরে গত ৩০ এপ্রিল ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে বা আইসিডিডিআরবিতে উদ্ভাবিত কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর গত ১৩ মে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বিএসএমএমইউতে প্রথম দফায় কিট জমা দেয় গণস্বাস্থ্য। একইসঙ্গে পরীক্ষা খরচ বাবদ ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জমা দেয় তারা। এরপর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কোভিড-১৯ সংক্রমণ নির্ণয়ক কিটের কার্যকারিতা যাচাইয়ে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ।