জাতীয়

করোনা সত্বেও দেশে মাথাপিছু আয় বেড়েছেঃ তথ্যমন্ত্রী

সরকারের দক্ষ পরিচালনাতেই দেশ মধ্যম আয়ে উন্নীত হয়েছে, মাথাপিছু আয়ে ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, সচিব মো. মকবুল হোসেন এবং সংস্থা প্রধানবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশ যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে, সরকার দক্ষভাবে দেশ পরিচালনা করতে পেরেছে বিধায় এটি সম্ভব হয়েছে। করোনার মধ্যেও বেড়েছে মানুষের মাথাপিছু আয়। এমনকি মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে আমরা ছাড়িয়েছি গেছি ভারতকেও। করোনার মধ্যেও এই অর্থবছরের সমাপ্তিলগ্নে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে যাচ্ছে ৬ দশমিক ১ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। মূল্যস্ফীতি যখন স্থিতাবস্থায় থাকে এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেশি হয়, তখন স্বাভাবিকভাবে মানুষের আয় উন্নতি তথা দেশের অগ্রগতি বৃদ্ধি পায়। এটি গত ১২ বছর ধরে হয়ে আসছে, সেকারণেই দেশ এগিয়েছে।

ড. হাছান বলেন, “পৃথিবীর বিভিন্ন পত্রপত্রিকা বাংলাদেশের এই অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। শুধু বাংলাদেশে অনেকে সেই অগ্রগতি দেখতে পায় না, দেখেও কোথায় কি গলদ আছে সেটা খুঁজে বের করার নামে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালায়। দু’একটি সংবাদ মাধ্যমেও আমরা দেখতে পাই এ নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয় এবং এই অগ্রগতি আসলে কতোটুকু সে নিয়ে প্রশ্ন তোলার অপচেষ্টা চালু হয়। এই অপচেষ্টা আজকে হচ্ছে তা নয়, এই অপচেষ্টা গত সাড়ে ১২ বছর ধরেই হচ্ছে। এসত্ত্বেও দেশ এগিয়েছে”।

গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই সরকারের বা যেকোনো দায়িত্বশীলের ব্যর্থতা, ত্রুটি নিয়ে আলোচনা হবে, কিন্তু পাশাপাশি অগ্রগতিটাও মানুষকে জানাতে হবে। কারণ মানুষ যখন দেশকে নিয়ে আশাবাদী হবে তখনই দেশ ও সমাজ এগিয়ে যাবে। দেশের অগ্রগতি যদি বিশ্বের পত্রপত্রিকায় প্রচারিত হয় অথচ আমাদের দেশে ঠিকভাবে না হয়, সেটি খুবই দুঃখজনক।

মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার সচিবের সাথে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা, বাংলাদেশ টেলিভিশন, তথ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন, গণযোগাযোগ অধিদপ্তর, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এবং চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের  প্রতিনিধিবৃন্দ বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten + six =

Back to top button