করোনা সর্বশেষ: মৃত ৩ লাখের অধিক, আক্রান্ত ৪৪ লাখ ৮৯ হাজার
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা আজ বৃহস্পতিবার রাতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন লাখের বেশি।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বের ৪৪ লাখ ৮৯ হাজার ৪৪৮ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ২৪ লাখ ৯৯ হাজার ৬৩৯ জন চিকিৎসাধীন এবং ৪৫ হাজার ৮৪৪ জন (২ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।
এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে ১৬ লাখ ৮৮ হাজার ৭৮৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে এবং তিন লাখ এক হাজার ২৩ জন রোগী মারা গেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরের চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।
গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০৪১ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। সর্বশেষ আক্রান্তদের নিয়ে সারা দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৮৮৬৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ১৪ জন মারা গেছেন। একদিনে এটাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা। ইতোমধ্যে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে মারা গেছেন সংখ্যা দাঁড়ালো ২৮৩ জনে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) দুপুরে মহাখালী থেকে নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ব্রিফিং এ অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ হাজার ৩৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আর নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৭ হাজার ৯৩৮টি। এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৩০টি।
মোট ৪১টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৪ ব্যক্তির মধ্যে ১১ জন পুরুষ এবং ৩ জন নারী। মৃতদের ৯ জন ঢাকার বাকিরা ঢাকার বাইরের।গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৪২ জন কোভিড-১৯ রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৬০৩ জন।
ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, আমাদের প্রতিরক্ষা আমাদের নিজেদের হাতে। আমরা সচেতন থেকে নিজেকে এবং পরিবারকে সুরক্ষায় রাখতে পারব। আমরা এখন যুদ্ধ অবস্থার মধ্যে আছি। আমাদের এখন মানসিক স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে হবে এই যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য।
দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত (কোভিড-১৯) প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।