কুড়িগ্রামের রৌমারীতে মুজিববর্ষের উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই চারটি ঘর ভেঙে পড়েছে।
রোববার (৩০ মে) উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের হরিণধরা (বগারচর) নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে কাজ করায় ঘরগুলো ভেঙে পড়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
রৌমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্র জানায়, মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদর পুনর্বাসন প্রকল্পের (আশ্রয়ণ প্রকল্প-২) আওতায় দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন ৩৫টি পরিবারকে এ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। প্রথম ধাপে ৯টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতিটি গৃহের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা।
দ্বিতীয় ধাপে ২৬টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যার প্রতিটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে ৯টি গৃহের নির্মাণ শেষ হওয়ায় সুবিধাভাগীদর মাঝে এসব গৃহের চাবি হস্তান্তর করা হয়। বাকিগুলাের কাজ চলমান রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সরাসরি এ নির্মাণকাজের তত্ত্বাবধান করে।
সােমবার (৩১ মে) সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, নিচু জায়গায় এবং বালুমাটিতে ঘরগুলা নির্মাণ করা হয়েছে। ঘরের ফাউন্ডেশন না থাকায় নিচের মাটি ধসে চারটি ঘর ভেঙে পড়েছে। নামমাত্র বালু ভরাট করে সঙ্গে সঙ্গে কাজ করায় এমনটি হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযােগ।
সুবিধাভােগী শাহজামাল ও ফুলা রানী বলেন, ‘জমি নিচু এবং বালুমাটি হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরের নিচের মাটি ধসে যায়। এতে চারটি ঘর ভেঙে গেছে। এভাবে ঘর ভেঙে পড়লে আমরা যাব কই?’
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল ইমরান বলেন, যে ঘরগুলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা মেরামত করে দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে। মূলত মাটির কারণে এমনটা হয়েছে।