পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, কয়েকটি ওয়াজ মাহফিলে কিছু বক্তা নারীদের নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দিচ্ছেন। এসব বক্তাদের ওপর নজরদারির কথা জানিয়েছেন তিনি।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ‘সহিংসতা ও চরমপন্থা প্রতিরোধে ইসলামিক বিজ্ঞজনদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে এসব বলেন সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি যে সম্প্রতি ওয়াজ মাহফিলে কিছু বক্তা ইসলামের পাঁচ স্তম্ভ নিয়ে আলোচনা না করে নারীদের নিয়ে আপত্তিকর বক্তৃতা দেন।’
গতকাল সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী ওয়াজ মাহফিল ও ধর্মীয় বক্তৃতায় রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য নিষিদ্ধ করে কোরআন ও হাদিসের রেফারেন্স বাধ্যতামূলক উল্লেখ করে ধর্মীয় বক্তৃতা দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ পাঠান।
আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান আইনি নোটিশে বলেন, ৩০ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে তিনি এ বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করবেন।
সেমিনারে সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, যার ইসলাম সম্পর্কে সুস্পষ্ট জ্ঞান আছে, সে কখনই জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারে না। ‘আলেমরা বয়ানের মাধ্যমে জনগণকে জঙ্গিবাদ ও মাদক সম্পর্কে সচেতন করতে পারেন। জনগণের কাছে ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যা দিতে, জনগণকে সচেতন করতে আলেম-ওলামাদের ভূমিকা অনেক।’
জঙ্গিবাদের বিষয়ে আলেমদের মধ্যেও বিভাজন আছে বলে মন্তব্য করেন সিটিটিসি প্রধান।
তিনি আলেম সমাজকে হলি আর্টিজানের মতো ঘটনা যেন না ঘটে, সে বিষয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘জঙ্গিবাদ যেহেতু একটি আদর্শের বিষয়, যারা জেনে বুঝে রাজনৈতিক মদদে জঙ্গিবাদের দিকে যাচ্ছে তাদের পুনর্বাসনের সুযোগ সীমিত।’
সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশে আল-কায়েদা নেই। তাদের কোনো শাখাও নেই। তবে, অনেকে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে বাংলাদেশে আল-কায়েদার অস্তিত্ব প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন।’