কেরানীগঞ্জ কারাগারে প্রথম ফাঁসি
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার জনবহুল পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোড থেকে কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরের পর এখনো পর্যন্ত সেখানে কোনো আসামির ফাঁসি কার্যকর হয়নি। বঙ্গবন্ধুর খুনি আবদুল মাজেদের ফাঁসিই হবে এই কারাগারের প্রথম ফাঁসি।
মাজেদের ফাঁসি কার্যকরের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির মঞ্চ। প্রস্তুত রয়েছে জল্লাদ শাহজাহানসহ দশজনের একটি দল।
কারাগারের একটি সূত্র জানায়, নাজিমউদ্দিন রোড থেকে স্থানান্তরের পর কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এখন পর্যন্ত কোনো ফাঁসি কার্যকর হয়নি। তবে মঞ্চটি সব সময় প্রস্তুত থাকে। মাজেদের ফাঁসি এখানে কার্যকর হবে।
গত সোমবার রাত ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের সামনে থেকে মাজেদকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ৪৪ বছর ৭ মাস ২১ দিন পর গ্রেপ্তার হন তিনি। সবশেষ গতকাল শুক্রবার স্ত্রীসহ পাঁচজন কারাগারে মাজেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ফাঁসির আগে প্রত্যেক আসামিকে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়।
গত বুধবার ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এম হেলাল উদ্দিন চৌধুরী মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
ওইদিন বিকেলে মাজেদ রাষ্ট্রপতির কাছে এ আবেদন করেন। কারা কর্তৃপক্ষ আবেদনটি বিকেলেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকে বঙ্গভবনে পৌঁছানো হয়। প্রাণভিক্ষার আবেদনটি বঙ্গভবনে পৌঁছার পরপরই তা খারিজ করে দেন রাষ্ট্রপতি। এটি প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় কারা কর্তৃপক্ষের সামনে দণ্ড কার্যকরে বাধা থাকছে না।