করোনাভাইরাসজাতীয়তথ্যপ্রযুক্তি

কোনো কর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে ৫ লাখ টাকা দেবে ‘নগদ’

কোনো কর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে ৫ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ডাক বিভাগের আর্থিক লেনদেন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’।

শুক্রবার প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “নগদ বিশ্বাস করে ‘মানুষ বাঁচলে দেশ বাঁচবে’। আর সেই বিশ্বাস থেকে সকল উদ্যোক্তা, পরিবেশক, বিক্রয়কর্মীসহ নগদ পরিবারের প্রায় ২ লাখ সদস্যের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে ‘নগদ’।

এই সময়ে ‘নগদ’ পরিবারের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসার জন্য ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দেবে নগদ কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশ এখন গভীর সংকটে। করোনাভাইরাসের কারণে অফিস, ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছুই থমকে গেছে। এতকিছুর পরও নগদ দেশ, মানুষ আর নিজের কর্মীদের জন্য নিয়েছে নানা রকম মানবিক পদক্ষেপ। সামাজিক দূরত্বের কারণে একজন আরেক জনের কাছ থেকে দূরে। কিন্তু নগদ মনে করে মানবিকভাবে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর এটাই শ্রেষ্ঠ সময়।

‘নগদ’  তার জায়গা থেকে শেষ পযর্ন্ত মানুষ ও দেশের জন্য নিরলসভাবে কাজ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মানুষের পাশে থাকার সেই প্রত্যয় থেকে এই দুর্যোগের সময়েও মানুষের ভোগান্তি কমাতে এবং মানুষের কাছে আর্থিক সেবা পৌঁছে দিতে নগদের উদ্যোক্তা, পরিবেশক, বিক্রয়কর্মীসহ প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

“কর্মীদের এই শ্রম ও ত্যাগকে গভীরভাবে শ্রদ্ধা করে নগদ। প্রতিষ্ঠানের প্রতি নিবেদিত কর্মী ও তাদের পরিবারের পাশে থাকার প্রয়াস ও কৃতজ্ঞতা থেকেই নগদ এই উদ্যোগ নিয়েছে।”

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নগদ’ তার কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রথম থেকে অনেক বেশি সচেতন। যার কারণে ২৫ মার্চ থেকে নগদের কর্মীরা ‘হোম অফিস’  করছেন। কেউ যেন এই দুর্যোগের সময় আতঙ্কিত না হোন, তার জন্য নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে যারা মানুষের সেবার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছেন, তাদের নিরাপত্তা নিয়েও কাজ করছে নগদ।

দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে ‘নগদ’ মানুষ ও দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকেই মার্চেন্ট টু মার্চেন্ট খরচ ৬ টাকায় নামিয়ে এনেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও ওষুধের ক্ষেত্রে মাশুল না নেওয়া এবং মাসে প্রথম এক হাজার টাকা ক্যাশ আউটে চার্জ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 3 =

Back to top button