কোন পথে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের নারীরা?
রোকেয়া চেতনায় তের বছরের মেয়েরা সহপাঠির বিয়ে ঠেকিয়ে দিলেও নিজেদের সাড়ে চার লক্ষ বাৎসরিক
এবরশন ঠেকাতে পারছে না।
চাঁপাডাংগার বউরা শুধুমাত্র বাপ্পারাজদের সেবার চেতনাকে কেন্দ্র করে সংসার টেকাতে পারছে না ২০ শতাংশ।
ক্লোজ আপ চেতনায় এগিয়ে নেয়া ভালবাসা দিবসের স্বপ্নগুলো যখন বিজয় দিবসে ডাস্টবিনের ড্রেনে আটকে
যায়, নবজাতকের চিৎকার গুলো সামাল দিতে পারছেনা কাছে আসার গল্পের তরুনীরা।
মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীর চোখের খোরাক হওয়ার চেতনায় বিভোর তরুনীরা নিজের ঘরে কাপড় ধোয়ার মত বিষয়কে কেন্দ্র করে শুধু ঢাকাতেই ডিভোর্স নিচ্ছে ৩০ শতাংশ।
চেতনা… চেতনা… চেতনা…
কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চেতনার পিরামিড গড়ে তোলা তরুনীদের দিন শেষে নিজ কাঁধে উঠছে হতাশার হিমালয়। ফলাফল- শুধুমাত্র বিষ আর ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা বছরে ১০ হাজার তরুণীর।
একটা জাতির মাথায় যখন ইঞ্জেকশন পুস করা হয় এয়ারহোস্টেস হওয়ার নাম যোগ্যতা, নিজ ঘরে রান্না
করাটা বুয়াগিরি!
বসের ব্লেজার পড়িয়ে দেয়ার নাম পারফরমেন্স, শ্বশুর-শাশুড়ির গামছা এগিয়ে দেয়া পরাধীনতা!
কাস্টমারদের চড়া ব্যবহারকে হাসি মুখে সামাল দেয়ার নাম কোয়ালিটি, ক্লান্ত স্বামীর সাউট মানে আত্মমর্যাদার হনন!
কি আর গিলতে বাকি জাতির?
“দেখিয়ে দাও অদেখা তোমায়” স্লোগানে কোন পথে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের নারীরা? ওরা তো বলছে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে ….আসলে কি তাই?
লেখক: মুহিউদ্দিন