কোভিড-১৯ পরীক্ষা-চিকিৎসা-ভ্যাকসিনে ৩০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজনঃ ডব্লিউএইচও
বিশ্বব্যাপী কোভিড -১৯ পরীক্ষা, চিকিৎসা এবং ভ্যাকসিন উন্নয়ন ও উৎপাদনে বৈশ্বিক উদ্যোগ জোরদারে আগামী বছরে ৩০ বিলিয়নের বেশি অর্থের প্রয়োজন হবে ব্লে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
করোনা মোকাবেলায় বৈশ্বিক সমন্বিত প্রচেষ্টা জোরদারে গত এপ্রিলে শুরু হওয়া এক্সেস টু কোভিড-১৯ টুলস (এসিটি) হিসেবে পরিচিত উদ্যোগের আন্তর্জাতিক ব্যয় বিবরণী তুলে ধরে ডব্লিউএইচও শুক্রবার ৩১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার অর্থায়নের জন্য বিশ্বের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থাটি জানায়, এপর্যন্ত ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। এই মুহূর্তে জরুরি প্রয়োজন মেটাতে ১৪ বিলিয়ন ডলারসহ আগামী ১২ মাসে মোট ২৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।
শনিবার (২৭ জুন) ব্রাসেলস-এ এটিসি উদ্যেগে সহায়তা বিষয়ক বৈঠকের প্রক্কালে ডব্লিউএইচও এই ঘোষণা দেয়। এটিসি উদ্যোগ বিষয়ে বিশেষদূত নগোজি ওকোনজো আইয়েলা এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “আমরা যদি এখনই গুরুত্ব না দেই, তাহলে মানুষের প্রাণহানি ও অর্থনৈতিক বিপর্যয় আরও গুরুতর হবে।”
তিনি এই সময়ে এ বক্তব্য দিলেন যখন বিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারিতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ লাখ ৯০ হাজার এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৯ দশমিক ৬ মিলিয়ন ছাড়িয়েছে।
ডব্লিউটিও প্রধান টেড্রোস ঘেব্রেয়েসাস বলেছেন, “এটি স্পষ্ট যে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং মানুষের জীবন বাঁচাতে আমাদের অস্বাভাবিক দ্রুত গতিতে বিপুল পরিমাণ কার্যকর ভ্যাকসিন, টেস্ট ও থেরাপির প্রয়োজন হবে। কেননা, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ভ্যাকসিন, টেস্ট ও থেরাপি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
২০২১ সালের মাঝামাঝি নাগাদ সম্ভাব্য ৫০ কোটি টেস্ট এবং নিন্ম ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর ২৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষের চিকিৎসা সুবিধা দিতে এই তহবিলে সহায়তার অনুরোধ জানানো হয়েছে।