কোভিড-১৯ সারা বিশ্বের সবার মধ্যে ছড়াবে!
কোভিড-১৯ সারা বিশ্বের আনাচেকানাচে ছড়িয়ে পড়ার প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের ধারণা, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস দীর্ঘদিন এই পৃথিবীতে থাকতে পারে।
করোনাভাইরাসের স্বভাব ঠিক ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লুর মতো বলে মনে করছেন বিশেজ্ঞরা। সেই ফ্লু মহামারিতে বিশ্বের জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ আক্রান্ত হয়েছিল।
তবে প্রথম ধাপে কেবল যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগর এবং শিকাগোতে ফ্লুর আক্রমণে অসুস্থতা এবং মৃত্যুর পরিমাণ বেশি ছিল। কিন্তু বোস্টন, ডেট্রয়েট, মিনিয়াপোলিস এবং ফিলাডেলফিয়ার মতো অন্যান্য শহরে স্প্যানিশ ফ্লুতে প্রথম ধাপে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। কিন্তু দ্বিতীয় ধাপে তা পুরো আমেরিকায় মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ গবেষণা ও নীতি কেন্দ্রের পরিচালক মাইকেল অস্টারহোম সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডেকে বলেন, ‘নিউইয়র্ক নগরের মতো শহর যেখানে পাঁচজনের মধ্যে একজন আক্রান্ত হয়েছে, সেখানে প্রাথমিক প্রাদুর্ভাবে অসুস্থতা ও মৃত্যুর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম। এর চেয়েও কঠিন সময় আসছে।’
অস্টারহোম আরও বলেন, ‘এই ভয়ংকর ভাইরাসটি যতক্ষণ না সম্ভব সবাইকে সংক্রমিত করবে, ততক্ষণ এটি পৃথিবীতে টিকে থাকবে। পৃথিবীর মোট জনগোষ্ঠীর ৬০ থেকে ৭০ ভাগকে সংক্রমিত না করা পর্যন্ত এই ভাইরাস কিছুতেই ক্ষান্ত হবে না।’
করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়ে মার্কিন সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) পরিচালক রবার্ট রেডফিল্ড দ্য ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, ‘আগামী শীত মৌসুমে আমাদের ওপর ভাইরাসটির আক্রমণ আরও বেশি কঠিন হয়ে ওঠার আশঙ্কা আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন আমি অন্যদের কাছে এ বিষয়টি বলেছি, তারা এটি একপ্রকার না বোঝার ভান করছে। তারা আমার কথার অর্থ কি বোঝে না?’
এদিকে অস্টারহোম কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই ভ্যাকসিন কেবল ভাইরাসের সংক্রমণ বা বিকাশ ধীর করতে সহায়তা করবে। এমনকি যদি কোনো ভ্যাকসিন কাজ করে, তবে কোভিড-১৯ এর বিকাশের জন্য দায়ী সার্স কোভিড-২ থেকে দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষা পাওয়া যাবে কি না, তা এখনো অজানা।’