র্যাব সদর দপ্তরে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সংস্থার লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ। তিনি বলেন, গত বছর থেকে শুরু হওয়া ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান বন্ধ হয়নি বরং তা সাম্প্রতিক সময়েও অব্যাহত রয়েছে এবং থাকবে।
তিনি বলেন, গত বছর সারাদেশব্যপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র্যাব। রাজধানীতে আটটি ও বন্দর নগরীতে তিনটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে আনুমানিক ২৭০ কোটি টাকার মতো এফডিআর ও নগদ টাকা উদ্ধার হয়।
হঠাৎ করেই শুরু হওয়া শুদ্ধি অভিযান, একে একে ধরা পড়ে ক্ষমতাসীন দলের অনেক বড় নেতা। ক্যাসিনোকাণ্ডে তোলপাড় শুরু হয় গোটা দেশে। আগামীকাল ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের পূর্ণ হতে যাচ্ছে এক বছর।
আশিক বিল্লাহ বলেন, আগামীকাল ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের এক বছর। ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর প্রথম দিন। সারাদেশব্যাপী ক্যাসিনোবিরোধী যে অপারেশন বর্তমান সময়ে স্থগিত আছে বলে মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে র্যাবের ক্যাসিনোবিরোধী অপারেশন ফৌজদারি দণ্ডবিধি চলমান রয়েছে। এরমধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইনভিত্তিক ক্যাসিনো অপারেশন। এ ধরনের অভিযানও সাম্প্রতিক সময়ে পরিচালনা করে আসছে। অর্থাৎ ক্যাসিনোবিরোধী যে অভিযান তা বর্তমানেও অব্যাহত আছে।
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র্যাব। প্রথম দিন ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাব ও ঢাকা ওয়ান্ডারর্স ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় গুলশানের বাসা থেকে ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর ওই বছরের ছয় অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের সীমান্ত এলাকা থেকে র্যাব গ্রেপ্তার করে যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের তৎকালীন সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে।
এরপর একে একে গ্রেপ্তার হন গণপূর্তের ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম, ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের এনামুল হক আরমান, কলাবাগান ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ শফিফুল আলম ফিরোজ, অনলাইন ক্যাসিনোর প্রধান সমন্বয়কারী সেলিম প্রধানসহ অনেকে।