Breakingজাতীয়

খালেদা জিয়াকে দ্রুত বিদেশে নেওয়ার ব্যবস্থা করার দাবি বিএনপির

উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি। মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

তিনি বলেন, দেশনেত্রীর চিকিৎসক বোর্ডের প্রধান ডা. এএফএম সিদ্দিকী জানিয়েছেন— খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্ত হলেও কোভিডপরবর্তী কয়েকটি জটিলতায় ভুগছেন এবং তিনি কোনোভাবেই ঝুঁকিমুক্ত নন। উনার লিভার ও অন্যান্য জটিলতার চিকিৎসা বিদেশে কোনো উন্নত কেন্দ্রে প্রয়োজন। বাংলাদেশে যার কোনো সুযোগ তুলনামূলকভাবে কম।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানিয়ে মহাসচিব বলেন, স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসায় আরও উন্নত চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানোর জন্য বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করা এবং তার মুক্তি দেওয়া জরুরি।

২০ জুন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয় গুলশান কার্যালয়। তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত হন।
ওই সভায় ফুসফুসসহ নানা জটিলতায় আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করা হয়।

খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আগে বলিনি, উনার পরিবার বিদেশে পাঠানো কথা বলেছিল। আমরা এবার পার্টির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে রেজ্যুলেশন নিচ্ছি যে, তার বিদেশে চিকিৎসা দরকার। এর জন্য যা কিছু সরকারের করা দরকার, সরকারের করা উচিত ইমিডিয়েটলি (অনতিবিলম্বে)।’

তিনি যোগ করেন, তার পরের যে স্টেপগুলো আছে পরবর্তী সময় আলাপ-আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।

গত ১৯ জুন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ৫৩ দিন চিকিৎসার পর খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসায় ফিরেছেন।

হাসপাতালে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি থাকার কারণে তাকে বাসায় নিয়ে চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেয় ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড।

গত ১৪ এপ্রিল গুলশানের বাসায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন বিএনপি চেয়ারপারসন। সেখানেই তার চিকিৎসা নেন। পরে পোস্ট কোভিড জটিলতা নিয়ে গত ২৭ এপ্রিল তাকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

প্রথম কয়েক দিন কেবিনে চিকিৎসাধীন থাকলেও ফুসফুসের জটিলতা ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করলে বিএনপি চেয়ারপারসনকে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে এক মাস ছিলেন তিনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 + 1 =

Back to top button