Lead Newsজাতীয়

খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ছে

বাসায় থেকে চিকিৎসা নেয়ার শর্তে বিএনপির চেয়ারপার্সন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর অভিমত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণম্যধ্যমকে বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে দেশে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেয়ার আগের শর্তে খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করার পক্ষে তারা এই মত দিয়েছেন।

এর আগে খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তার মুক্তির জন্য সরকারের কাছে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ মার্চ মুক্তি পান খালেদা জিয়া। আবেদনে যুক্তরাজ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তখন তাকে দেশের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি সরকার। এবারও বিদেশে নেয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

গত ২৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠানো হয় বলে তিনি জানান। গত ২৪ মার্চ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তার গুলশানের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ এর উপধারা ১ অনুযায়ী, খালেদা জিয়ার সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার শর্তসাপেক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ছয় মাসের জন্য তার সাজা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুটি শর্তে তাকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। সেগুলো হলো- এই সময়ে তার ঢাকায় নিজের বাসায় থাকতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।

খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ শে মার্চ শর্ত সাপেক্ষে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে ছয় মাসের জন্য সরকার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়েছিল।

খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দুই বছরের বেশি সময় জেল খাটার পর সেই দিনই মুক্তি পেয়েছিলেন।

তিনি এখন যে মুক্ত আছেন সেই মুক্তির মেয়াদ আগামী ২৪শে সেপ্টেম্বর শেষ হতে যাচ্ছে।

সেই প্রেক্ষাপটে গত ২৫ শে অগাস্ট শামীম ইস্কান্দার পরিবারের পক্ষ থেকে স্থায়ী মুক্তি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল।

এখন সেই আবেদনের ওপর আইন মন্ত্রণালয় তাদের মতামত পাঠালো।

আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, এটি প্যারোল বা জামিন মুক্তি নয়। ফৌজদারি কার্যবিধিতে সরকারের যে ক্ষমতা রয়েছে সেই ক্ষমতাবলে সাজা স্থগিত করে এই মুক্তির বিষয় এসেছে।

২০০৮ সালে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়।

দশ বছর পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে মামলার রায়ে তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়।

তবে পরে হাইকোর্ট সেই সাজা বাড়িয়ে দশ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − seven =

Back to top button