দেশে গণটিকা কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিন রোববার পুরান ঢাকায় টিকা কেন্দ্রগুলোতে গোলমাল চরম আকার ধারণ করে। পর্যাপ্ত টিকা না পাওয়া ও সিরিয়াল ভঙ্গ করে পরে আসা লোকজনদের আগে টিকা প্রদান এবং বেলা ২টা বাজলে টিকা কার্যক্রম স্থগিত করায় কেন্দ্রগুলোতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।
টিকা কেন্দ্রগুলোর লাইনে দাঁড়ানো মানুষদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই ছিল না। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একজন আরেকজনের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে টিকা নিতে দেখা গেছে। এমন চিত্র দেখা গেছে পুরান ঢাকার লালবাগ, বংশাল, সূত্রপুর, কামরাঙ্গীরচর ও মিটফোর্ড হাসপাতাল ঘুরে।
ডিএসসিসি নিয়ন্ত্রিত মহানগর জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ভোররাত থেকে স্থানীয় জনগণ লাইনে বসে আছেন। এখানে টিকা প্রদান খুবই ধীর গতিতে চলছিল। এছাড়া পরের লোকজনদের আগে টিকা নিতে দেখা যায়। এই কারণে কিছুক্ষণ পর পর হট্টগোল সৃষ্টি হয়।
এদিকে, শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডগুলোতে কাউন্সিলরের কার্যালয় থেকে টোকেনপ্রাপ্তদের টিকা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওইসব ওয়ার্ডগুলোতে সকাল থেকে টিকা দেওয়ার জন্য লোকজন লাইনে দাঁড়ালেও কাউন্সিলরের টিকেটপ্রাপ্তরাই কেবল টিকা নিতে পেরেছেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদের সঙ্গে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, মিটফোর্ট হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রেও স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। টিকা নিতে আসা ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ভোর রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও টিকা পাননি তারা, অথচ স্থানীয় কাউন্সিলরের মানুষজন ও প্রভাবশালী লোকজন এসেই টিকা নিয়ে চলে গেছেন। এছাড়া দুপুর ২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই কেন্দ্রগুলোতে টিকাদান স্থগিত করা হয়।
হাসপাতালটির কর্মকর্তারা বলেন, এখানে নিয়ম মানানো এবং লাইন ঠিক রাখা খুবই কষ্টসাধ্য। স্থানীয়রা প্রভাব বিস্তার করে লাইনের সামনে চলে আসে। কিছু বললে হট্টগোল বাঁধিয়ে দেয়।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আলী হাবিব বলেন, আমরা প্রথম থেকেই আন্তরিকভাবে টিকা প্রদান করছি। অনেক সময় নির্ধারিত সময়ের পরও টিকা প্রদান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।