চতুর্থ বারের মতো সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হলেন বাসার আল-আসাদ
চতুর্থবারের মতো সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন বাশার আল-আসাদ। আজ শনিবার (১৭ জুলাই) দেশটির সংসদে নতুন মেয়াদের জন্য শপথ গ্রহণ করেন তিনি। এবার শপথ নেওয়ার মাধ্যমে আগামী সাত বছর ক্ষমতায় থাকছেন ৫৫ বছর বয়সী এই প্রেসিডেন্ট।
শপথ শেষে বাশার আল-আসাদ বলেন, অনেকেই সিরিয়াকে ভেঙে টুকরো টুকরো করতে চেয়েছিল। কিন্তু জনগণ ঐক্যবদ্ধ থেকে শত্রুদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করেছে। এ সময় তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটার উপস্থিত হয়েছিল দাবি করে বিষয়টির প্রশংসা করেন।
এদিন সংসদে উপস্থিত হলে সবাই তাকে স্বাগত জানায়। এরপর সংবিধান মেনে শপথ নেন। অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদ, ক্রীড়াবিদ, সাংবাদিক ও শিল্পীসহ প্রায় ৬ শতাধিক অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বলেন, যে জাতি স্বাধীনতা ও মুক্তির পথ বেছে নিয়েছে তারা কখনো সংগ্রামে ক্লান্ত হয় না। অনেকেই সিরিয়াকে ভাঙতে চেয়েছিল। কিন্তু জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে শত্রুর মোকাবিলা করে তাদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিয়েছে। এর আগে গত ২৬ মে অনুষ্ঠিত সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৭৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ ভোট পড়ে। এর মধ্যে ৯৫ দশমিক এক শতাংশ ভোট পেয়ে বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করেন বাশার আল-আসাদ।
অবশ্য এ নির্বাচন নিয়ে নানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে এটিকে প্রহসনের নির্বাচন আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালিসহ সিরিয়ার বিরোধীদলগুলো।
নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, সিরিয়ায় জাতিসংঘের প্রস্তাব মানা হয়নি এবং ছিল না কোনো আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা। কেবল আসাদ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার মানুষরাই ভোট দিতে পেরেছেন।
এছাড়া নির্বাচনে মাত্র তিনজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পেরেছিলেন। অথচ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রায় ৪৮ জন। বাকিগুলো বাতিল করে দেয় আসাদ সরকার। আর প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে রাখা হয় তারই সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ সালুম আবদুল্লাহকে।
২০০০ সাল থেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন বাশার আল- আসাদ। তার আগে প্রায় পঁচিশ বছর ক্ষমতায় ছিলেন বাশারের বাবা হাফিজ আল-আসাদ।
সূত্র : আল জাজিরা