‘চন্দ্রযান-২’ প্রেরণ: মহাকাশ গবেষণায় অনন্য নজির ভারতের (ভিডিও)
সকল প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে চাঁদের উদ্দেশ্যে উড়ল ভারতের ‘চন্দ্রযান-২’। এর মধ্যদিয়ে ভারতের দ্বিতীয় চাঁদে অনুসন্ধান অভিযান শুরু হলো। গত কয়েক বছরে মহাকাশ গবেষণায় নজির তৈরি করেছে ভারত। ‘চন্দ্রযান-১’ এর সফল অভিযানের পর বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে প্রথম চেষ্টায় মঙ্গলের কক্ষে যান পাঠায় ভারত। এবার আরও এক ইতিহাসের দোরগোড়ায় ভারত।
চলতি মাসের ১৫ তারিখ উৎক্ষেপণের কথা ছিল চন্দ্রযানের। উৎক্ষেপণের দিন ঠিক ৫৬ মিনিট ২৪ সেকেন্ড আগে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পরে রকেটে। রকেটের একটি ভাল্ব থেকে লিক হচ্ছিল হিলিয়াম গ্যাস। ঝুঁকি নিতে চাননি বিজ্ঞানীরা। তাই উৎক্ষেপণ বাতিল করা হয়। এরপর, দ্রুত তৎরতায় শুরু হয় যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামতের কাজ। ওভারটাইম কাজ করে ত্রুটি সারিয়ে তোলেন ইসরোর বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদরা। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা ও এই সময়ের।
চন্দ্রযান-২- এর তিনটি মডিউল রয়েছে- অরবিটার, ল্যান্ডার ও রোভার। ভিতরে থাকবে রোভার। অরবিটার, ল্যান্ডার থাকবে একসঙ্গে। ল্যান্ডারটি চাঁদের মাটিতে অবতরণের পর খুলে যাবে দরজা। তখন ল্যান্ডারের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসবে রোভার। রোভারটি আসলে একটি গাড়ি, যা পৃথিবী থেকে রিমোট কন্ট্রোলে চালানো যায়। ওই গাড়ি চাঁদের মাটিতে চালিয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবেন বিজ্ঞানীরা। ল্যান্ডারটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বিক্রম’। রোভারটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্রজ্ঞান’।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ১২ নভেম্বর ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) এবং রাশিয়ান ফেডারেল স্পেস এজেন্সি (রসকসমস), এই দুই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘চন্দ্রযান-২’ প্রকল্পে একসঙ্গে কাজ করার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তিতে ইসরো উপগ্রহ (অরবিটার) ও রোভার তৈরির প্রধান দায়িত্ব ও রসকসমস নেয় ল্যান্ডার সরবরাহ করার দায়িত্ব। সংস্থা দুটির দীর্ঘ গবেষণা আজ সফলতার পথে উড়লো।