পাটকল বন্ধ হয়েছে বলা যায় না, শুধু উৎপাদন বন্ধ আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের পাওনাদি কড়ায়-গন্ডায় মিটিয়ে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে খুলনা মহানগরীর রূপসা এলাকায় বিভাগীয় শ্রম দপ্তর চত্বরে প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের প্রায় সাড়ে ৩০০ শ্রমিককে সহায়তার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পাট-শিল্পের সংশ্লিষ্টদের সুখবর দিয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাঁচটি পাটকল চালুর জন্য এরই মধ্যে দরপত্র জমা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ কমিটির বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। শিগগির পাটকলগুলো আবার চালু হবেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৪৯ বছর ধরে সুখে-দুঃখে শ্রমিকদের সঙ্গে আছি। ডিসেম্বরে ৫০-এ পড়বে। যতদিন বেঁচে থাকবো, শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করে যাবো।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, কর্মকে ফাঁকি দিও না। জীবন তোমাকে ফাঁকি দিবে। কর্ম করে জীবনমানের উন্নয়ন করতে হবে। অসুস্থ, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিকরা শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে আবেদন করলে দ্রুত সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গৌতম কুমার শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানকে ‘শ্রমিকের মা’ উপাধি দেন। তিনি বলেন, শ্রম অধিদপ্তরের চোখে কোটি শ্রমিক স্বপ্ন দেখে। তেজগাঁওয়ে শ্রমিকদের হাসপাতাল এবং মতিঝিলে লেবার টাওয়ার নির্মাণ করা হবে। আগামীতে শ্রমিক কল্যাণ স্কুল কলেজ করার স্বপ্ন দেখছে শ্রম মন্ত্রণালয়।
খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) এস এম ফজলুর রহমান, খুলনা মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক মো.মাহফুজুর রহমান ভূঁইয়া, খুলনা জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি বি এম জাফর এবং মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রণজিত কুমার ঘোষ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা শ্রম দপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক মো. মিজানুর রহমান।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে খুলনা জেলায় এ পর্যন্ত ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।