চিকিৎসক-পুলিশের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি কাম্য নয়ঃ হাইকোর্ট
লকডাউনে মুভমেন্ট পাস নিয়ে চিকিৎসক-পুলিশের বাকবিতণ্ডার ঘটনায় দুই পেশাজীবী সংগঠনের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দিয়েছেন। বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আসলে এটি কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ চিকিৎসক-পুলিশের বাকবিতণ্ডার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পেশাজীবী সংগঠনগুলোর পাল্টাপাল্টি বিবৃতি নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন তুলে ধরেন। আদালত ইউনুছ আলী আকন্দকে উদ্দেশ্য করে বলেন, গতকাল আপনি এ বিষয় নিয়ে এসেছিলেন।
আপনি তো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি নন। আপনি কেন এসেছেন। এ পর্যায়ে ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, আমার মেয়েও এক চিকিৎসক। আত্মীয়-স্বজনের মধ্যেও চিকিৎসক রয়েছেন।
আদালত চিকিৎসক-পুলিশের বাকবিতণ্ডার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে এমন আচরণ অনাকাঙ্ক্ষিত। আবার ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দেওয়া সমীচীন হয়নি।
দুই পেশাজীবী সংগঠনের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি কাম্য নয়।
উল্লেখ্য, গত রোববার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে লকডাউনে মুভমেন্ট পাস নিয়ে চিকিৎসক-পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাকবিতণ্ডার একটি ভিডিও মানবজমিনের ফেসবুক পেজে আপ করা পর পরই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে পড়ে। ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তৈরি হয় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া। এ ঘটনায় গতকাল দুই পেশাজীবী সংগঠন পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দেয়।
পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্তা ও হয়রানির অভিযোগ তুলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএ। অন্যদিকে পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন সংশ্লিষ্ট ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।