Lead Newsআন্তর্জাতিক

চীনের সঙ্গে বিবাদ সত্ত্বেও সরাসরি ভারতের পক্ষ নিলেন না ট্রাম্প

ওকলাহোমায় নির্বাচনি সভায় যাওয়ার আগে স্থানীয় সময় শনিবার রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। এ সময় এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা খুবই কঠিন পরিস্থিতি। আমরা ভারতের সঙ্গে কথা বলছি। চীনের সঙ্গে কথা বলছি। ওদের ওখানে বড় ধরনের সমস্যা হয়েছে। ওরা সংঘাতে জড়িয়েছে। আমরা দেখবো এরপর কী হয়। আমরা তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করবো।’

হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ইতোপূর্বে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়ে মুখ পুড়েছিল ট্রাম্পের। তাই এবার কিছুটা সতর্কভাবে পা ফেললেন তিনি।

এর আগে সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে গত ২৭ মে চীন-ভারতের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন ট্রাম্প। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমরা ভারত ও চীন উভয়কেই জানিয়েছি যে, তাদের সাম্প্রতিক সীমান্ত বিতর্ক নিয়ে মধ্যস্থতায় যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত, ইচ্ছুক ও সক্ষম। ধন্যবাদ!’ সে সময় চীন-ভারত সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে বলেও দাবি করেন ট্রাম্প। তবে দিল্লির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এমন কোনও ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়নি। পরে গত ২ জুন চীন সীমান্ত নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা হয় মোদির।

লাদাখের সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় ট্রাম্প সরাসরি কোনও পক্ষ না নিলেও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও অবশ্য চীনা বাহিনীর হাতে অন্তত ২০ ভারতীয় সেনা নিহতের ঘটনায় সমবেদনা জানিয়েছেন। শুক্রবার টুইটারে এক বার্তায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, সম্প্রতি চীনের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে যে প্রাণহানি হয়েছে তাতে আমরা ভারতীয় জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, জোট নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে ভারত দীর্ঘদিন থেকেই পরাশক্তিদের প্রভাবের ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করে আসছিল। একই সঙ্গে পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে স্বাতন্ত্র বজায় রেখেছিল দেশটি। তবে গত দুই দশকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক গড়ে তুলেছে দিল্লি। যুক্তরাষ্ট্র এখন ভারতের শীর্ষ অস্ত্র রফতানিকারক।

চীনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে ভারতের শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিকরা যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির মিত্র জাপানের সঙ্গে আরও নিবিড় সম্পর্ক স্থাপনের আহ্বান জানাচ্ছেন। যাতে করে চীনের অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি মোকাবিলা করতে পারে দিল্লি।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, রয়টার্স।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − twenty =

Back to top button