বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রায় তিন বছর দায়িত্ব পালন করে এবার বিদায় নিচ্ছেন আল নাহিয়ান খান ও লেখক ভট্টাচার্য।
তারা ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন। এর সাড়ে তিন মাস পর ‘ভারপ্রাপ্ত’ মুক্ত হয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব পান আল নাহিয়ান খান ও লেখক ভট্টাচার্য। আজ মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বিদায় নিতে যাচ্ছেন নাহিয়ান ও লেখক। সম্মেলনের পর ঘোষণা করা হবে ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্ব।
আল নাহিয়ান খান ও লেখক ভট্টাচার্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় শীর্ষ পদে থাকাকালীন সময়ে নানা অভিযোগে সমালোচিত হয়েছিলেন। টাকার বিনিময়ে নেতা বানানো, সম্মেলন না করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জেলা কমিটি গঠনসহ নানা অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ নিয়ে দেশের শীর্ষ গণমাধ্যমগুলোতে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অবশ্য এবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি পদের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৯৬ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য দিয়েছেন ১৫৮ জন।
এর আগে ২০১৮ সালের ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের পর ৩১ জুলাই ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছিলেন রেজওয়ানুল হক চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন গোলাম রাব্বানী। উন্নয়ন প্রকল্প থেকে চাঁদা দাবিসহ নানা অভিযোগে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে তাদেরকে পদচ্যুত করা হয়।
আর ওই সময়ই ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন আল নাহিয়ান খান ও লেখক ভট্টাচার্য। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি তাদেরকে ‘ভারমুক্ত’ করা হয়েছিল।