স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পুলিশের সবচেয়ে বড় ইউনিট হচ্ছে ডিএমপি। এ ইউনিটটি ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলেই আমরা নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছি। আমাদের দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ তা রুখে দিয়েছে। বর্তমান সরকারের সময় পুলিশে অনেকগুলো ইউনিট হয়েছে। সব ইউনিট একসঙ্গে কাজ করেছে বলে আমরা কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছি। ডিএমপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার রাজারবাগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এ সময় মন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা পুনরায় ঘোষণা করেন।
বিকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কেক কেটে ডিএমপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব (জননিরাপত্তা বিভাগ) মোস্তফা কামাল, আইজিপি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, সরকারের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, দেশের বরেণ্য ব্যক্তি ও বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল বলেন, ‘থানাকে আস্থার প্রতীক হতে হবে। কারণ সাধারণ মানুষ বিপদগ্রস্ত হয়ে থানায় যান। আন্তরিকতার সঙ্গে এ মানুষগুলোর সমস্যা সমাধান করতে হবে।’
জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক চেষ্টায় পুলিশ বাহিনীকে অনন্য উচ্চতায় নেয়ার চেষ্টা করছি। আমরা যে পুলিশ চেয়েছিলাম আজকের পুলিশ সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার’- শীর্ষক একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এরপর দেশের প্রখ্যাত শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। দিনটি উপলক্ষে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে বসেছিল পুলিশের নবীন-প্রবীণ কমকর্তাদের মিলনমেলা।