নগরজীবন

জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল-জলাশয়গুলো উদ্ধার করতেই হবেঃ আতিকুল

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে কঠোর অবস্থানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, মূল ম্যাপে যেখানে যেখানে খাল ও জলাশয় আছে সেগুলো উদ্ধার করতেই হবে। যত বড় শক্তিশালী লোকই দখল করুক, জনগণকে নিয়ে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। খাল উদ্ধারের কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার (৩০ মে) পাঁচ তারকা হোটেল লা মেরিডিয়ানের বিপরীত পাশে এডি-৮ খাল খনন কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র একথা বলেন। এসময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিসুর রহমান নাঈম ও ডিএম শামীম উপস্থিত ছিলেন ।

মেয়র বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই হাজী ক্যাম্পের সামনে পানি জমে যায়, এটি দীর্ঘদিনের সমস্যা। যে জায়গায় খালটি খনন করা হচ্ছে এর মালিক সিভিল এভিয়েশন। তাদের বারবার বলার পরও তারা খাল খনন করতে পারে নাই। এখন তারা আমাদের বলেছে তাদের জায়গার ওপর দিয়ে খাল খনন করতে। জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমরা এই কাজ করছি।

তিনি বলেন, ঢাকা শহর একটি অপরিকল্পিত নগরায়ন। বিশেষ করে ঢাকার পূর্বাঞ্চল। এখানে বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানি আবাসন প্রকল্প নিয়েছে কিন্তু জলাবদ্ধতা নিরসনের কোনো ব্যবস্থা রাখেনি। এর ফলে ভুক্তভোগী হতে হচ্ছে অনেক সাধারণ মানুষকে।

মেয়র বলেন, সিভিল এভিয়েশনকে বারবার বলেছি, তারা করবো করবো করে আর করেনি। এই দায়সারা কাজ আর নয়। আমরা সিভিল এভিয়েশন ও ঢাকা ‍ওয়াসাকে বলবো আপনাদের খাল খনন করার জন্য যে ফান্ড আছে সেটি আমাদের দিয়ে দিন আমরা কাজ করে দেব।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরের মূলম্যাপে যেখানে যেখানে ড্রেন থাকবে, খাল থাকবে ও জলাশয় থাকবে আমাদের সেগুলো উদ্ধার করতেই হবে। যত শক্তিশালীই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

মেয়র বলেন, জলাশয় ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। আমরা কাউকে ছাড় দেব না।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ওয়াসা ড্রেন ঠিক মতো পরিষ্কার না করার কারণে মগবাজার সাসাতবাড়ি, মধুবাগ এলাকায় বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। অথচ জনগণ বারবার সিটি করপোরেশনকেই ধরছে। ঢাকা ওয়াসার যে সকল খাল খনন করা হয়নি তার জন্য ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে ডাকা হবে তাদের নির্দিষ্ট তারিখ দিতে হবে কবে খনন করবে। এরপর তারা যদি ব্যর্থ হয় তার জন্য তাদের জবাবদিহিতা করতে হবে।

ওয়াসা ও সিভিল এভিয়েশনের উদ্দেশে বলেন, আপনারা দায়িত্ব নিন অথবা আমাদেরকে ফান্ড দিন, আমরা কাজ করতে চাই। আপনারা দায়িত্ব নিবেন না, টাকা আপনাদের কাছে রেখে দিবেন। এটা হয় না।

প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম বলেন, এডি-৮ খালের উত্তর দিকে দেড় কিলোমিটার অংশে হাজীক্যাম্প, মোল্লারটেক, প্রেমবাগান আশকোনা, তালতলা, দক্ষিণ খান, আশিয়ান সিটি, কাওলা বাজার, দক্ষিণ দিকে বনরূপা হাউজিং। এই প্রকল্পের ১ দশমিক ৮ কিলোমিটার খাল খনন করা হবে। এই খালটি খনন করা হলে কসাইবাড়ী, আশকোনা, কাউলা এলাকার দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। এই ১ দশমিক ৮ কিলোমিটার খালে খনন করার ফলে প্রায় ২৭ হাজার কিউবিক মিটার মাটি উত্তোলন করা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − 2 =

Back to top button