জাতিসংঘে বর্ণবাদ-জলবায়ু ইস্যুতে গুরুত্ব দিচ্ছেন রাষ্ট্রপ্রধানরা
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ঠেকাতে মানবজাতিকে এখনই জেগে উঠতে হবে। অন্যদিকে, বর্ণবাদ ঠেকাতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
আর ভিডিও বার্তায় চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, “বর্ণবাদ রুখতে প্রয়োজন একটি সমন্বিত আইনগত কাঠামো প্রণয়ন।”
করোনা মহামারীর কারণে নানা ধরনের বিধিনিষেধের মধ্যেই মঙ্গলবার শুরু হয় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশন।
প্রথমদিনের বিতর্কে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানদের বক্তব্যে জলবায়ু ও করোনা ইস্যু প্রাধান্য পেলেও দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় মুখ্য হয়ে ওঠে বর্ণবাদ ইস্যু। যদিও, এদিনও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে সরব ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাব ও বিপর্যয় ঠেকাতে মানবজাতিকে এখনি জেগে উঠতে হবে। প্রতিটি রাষ্ট্রকে তার নিজ নিজ জায়গা থেকে কার্যকর ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান তিনি।
বরিস জনসন বলেন, “২০৩০ সাল নাগাদ বায়ুমণ্ডলে কার্বন নিঃসরণের হার কমানোর যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা বাস্তবায়নে প্রতিটি রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে। কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। আমার বিশ্বাস, কয়লা, গাড়ি, অর্থ এবং বৃক্ষ এই চারটি ক্ষেত্রে সমন্বয় করা গেলেই, আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবো।”
তবে, জলবায়ুকে ছাপিয়ে অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে মুখ্য হয়ে ওঠে বর্ণবাদ ইস্যু। অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনের বক্তব্যে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, বর্ণবাদ ঠেকাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। অন্যদিকে, ভিডিও বার্তায় চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্ণবাদ নির্মূলে জোর দেন একটি আইনগত কাঠামো প্রণয়ণের ওপর।
শি জিনপিং বলেন, “দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদের বিরুদ্ধে যে ধরনের আন্দোলন হয়েছিল, সেরকরম আরেকটি গণআন্দোলন প্রয়োজন। আমরা এমন একটি সমাজব্যবস্থা চাই, যেখানে প্রতিটি ধর্মের প্রতিটি বর্ণের মানুষ সম্মানের সঙ্গে তার পরিচয় নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবেন।”
এছাড়াও, এদিন আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং পরমাণু ইস্যুতে কথা বলেন, সৌদি আরব, ভেনেজুয়েলা, ইউক্রেনসহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানরা।