জাপানের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ফুমিও কিশিদা
জাপানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা (৬৪) দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নির্বাচনে জয় পেয়েছে। এর মধ্য দিয়ে কিশিদার প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিশ্চিত হয়েছে।
বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি পেয়েছেন ২৫৭ ভোট। অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী, টিকা বিষয়ক মন্ত্রী তারো কোনো (৫৮) মাত্র ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। তারো কোনো এর আগে প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগার স্থলাভিষিক্ত হবেন নির্বাচিত ফুমিও কিশিদা। গত বছর সেপ্টেম্বরে ক্ষমতা নেয়ার মাত্র এক বছরের মাথায় প্রধানমন্ত্রীর পদ ত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন ইয়োশিহিদে সুগা।
কিশিদা বিজয়ী হওয়ার পর নীতি পরিবর্তন খুব একটা হবে বলে মনে হয় না। তিনি কোমলভাষী। আয় বৈষম্য কমিয়ে আনার দিকে তার দৃষ্টি জোরালো। জাপানের প্রতিরক্ষা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা সম্পর্ককে শক্তিশালী করার বিষয়ে তিনি জোর দিয়ে তা অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। জোর দিয়েছেন কোয়াডের সঙ্গে অংশীদারিত্বে। পাশাপাশি নিয়মিত বৈঠকের মাধ্যমে চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে তিনি ধরে রাখার চেষ্টা করবেন।
আগামী সোমবার পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন। তাতে এলডিপির নতুন নেতা ফুমিও কিশিদা যে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন, তা নির্দিষ্ট করে বলে দেয়া যায়। পার্লামেন্টকে নিয়ন্ত্রণ করে তার দল এলডিপি এবং জোটের অংশীদাররা। আগামী ২৮ নভেম্বর জাপানে জাতীয় নির্বাচন। সেই নির্বাচনে এলডিপি’কে নেতৃত্ব দেবেন এখন কিশিদা। দলীয় ভোটের ফলে দেখা গেছে, দলের হেভিওয়েটদের পক্ষ থেকে অনেক বেশি সমর্থন পেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে দলীয় নির্বাচনের প্রথম রাউন্ড শেষেই সরে দাঁড়িয়েছেন দুই নারী প্রার্থী ৬০ বছর বয়সী সানাই তাকাইচি এবং ৬১ বছর বয়সী সিকো নোদা।
সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট।