Lead Newsশিল্প ও বাণিজ্য

জুনের মধ্যে বিল পরিশোধ না করলে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের লাইন কাটা শুরু হবে!

গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিলের বিলম্ব মাশুল জুন পর্যন্ত মওকুফ করা হয়েছিল করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে। কিন্তু আবাসিক গ্রাহকদের লাইন কেটে দেওয়া হবে যদি জুনের মধ্যে বিল না দেয়া হয়। তবে কেউ  যদি ১/২ মাসের বিল দেন সেক্ষেত্রে বিবেচনা করবে বিতরণ কোম্পানিগুলো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে আমরা তিন মাসের সুবিধা দিয়েছিলাম। জুন পর্যন্ত এই সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল। এরপর যদি কেউ বিল না দেয় তাহলে লাইন কেটে দেবে বিতরণ কোম্পানিগুলো।

প্রসঙ্গত, গত ২২ মার্চ ভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে জুন মাস পর্যন্ত গ্যাসের বিল এবং মে মাস পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব মাশুল নেবে না বলে আদেশ দেয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগ।

ওই সময় জ্বালানি বিভাগের উপসচিব আকরামুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে আবাসিক গ্যাস বিল পরিশোধের জন্য বিপুল সংখ্যক গ্রাহককে প্রায় একই সময়ে উপস্থিত হতে হয়। বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণকে ত্বরান্বিত করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অবিলম্বে এই আদেশ কার্যকর হবে।

এখন জুন মাস চলছে। এরপর কী হবে জানতে চাইলে ঢাকায় গ্যাস সরবরাহকারী কোম্পানি তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী মো. মামুন বলেন, আমরা গ্রাহকদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। জুন মাস পর্যন্ত সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এখন তো গ্রাহকদের উচিত বিল পরিশোধ করা। না করলে লাইনের কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জ্বালানি বিভাগ যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই করা হবে। তবে কেউ যদি ১/২ মাসের বিল দিতে শুরু করে তাহলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে তিনি জানান।

গ্যাসের মতো বিদ্যুতে সারচার্জ ও বিলম্ব মাশুল মওকুফ করা হয়। তবে তা জুন মাস পর্যন্ত নয়, মে মাস পর্যন্ত।  কিন্তু এরপর আবার  গত ৩১ মে প্রতিমন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গ্রাহকরা জুনের ৩১ তারিখ পর্যন্ত এ সুবিধা পাবেন। এরপর কী হবে জানতে চাইলে আজ তিনি বলেন, ‘এরপর লাইন কেটে দেওয়া হবে।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty + 17 =

Back to top button