আগামী ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে র্যালি বের করা হবে। এছাড়া, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
স্থায়ী কমিটির সর্বসাম্প্রতিক বৈঠকের পর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমনটিই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দেশনেত্রীর স্বাস্থ্য ও তাঁর মুক্তির বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। যেসব গণতান্ত্রিক দেশ আছে তাদের অবহিত করব এবং অন্যায়ভাবে যে দেশনেত্রীকে আটক করে রাখা হয়েছে সে বিষয়টা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু অংশ নেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ঈদের আগে দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের যে বিষয়টা এসেছিল হাইকোর্টে, সেখানে একটা নেতিবাচক আদেশ হওয়ার পর থেকে আমাদের যে ধারণাটা আরও দৃঢ় হয়েছে, তা হলো এখন বিচারব্যবস্থা আর স্বাধীনভাবে স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারছে না।
সরকার বিচারব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করছে। সেক্ষেত্রে আইনিভাবে এটা কিছুটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে যে, এখানে আমরা ন্যায়বিচার পাব কিনা। সে কারণে আমরা দেশনেত্রীর মুক্তি আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশের কর্মসূচি অব্যাহত রাখব। যেহেতু আগস্টে সরকার কোনো কর্মসূচি নিতে দেয় না সে কারণে আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ১ সেপ্টেম্বর এ কর্মসূচি আবার শুরু করব।’
কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে ‘ক্ষমতাসীন দলের সিন্ডিকেটের’ তৎপরতা এবং সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চামড়াশিল্প ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য এসব কাজ করা হচ্ছে। স্থায়ী কমিটি সরকারের ব্যর্থতা ও উদাসীনতার জন্য তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। অবিলম্বে এ শিল্পকে রক্ষার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’ একইসঙ্গে কোরবানির পশুর চামড়ার দামে সিন্ডিকেটের কারসাজিতে ধস নামানোর মাধ্যমে এতিমদের হক নষ্ট করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে নিন্দা জানানো হয়।
