বিবিধ

ড্রাগন ফলে সাফল্যঃ কোটি টাকা বিক্রির টার্গেট

যশোরের চৌগাছায় শিক্ষিত বেকার যুবক এনামুল কবির বিদেশি ফল ড্রাগনের চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন। ড্রাগন ফল বিক্রির টার্গেট নির্ধারণ করেছেন ১ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে তার ৩০ লাখ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি হয়েছে। তার এই সাফল্যে এলাকার কৃষকদের মধ্যে উৎসাহের সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন।

বর্তমানে তিনি এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবকদের কাছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। ভারত সীমান্তের গাঁ ঘেষা তিলতপুর গ্রামের বাসিন্দা একছের আলীর ছেলে এনামুল কবির। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রথম শ্রেণিতে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করে ঢাকায় মাল্টিন্যাশন্যাল কোম্পানির একজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরি নেন। কিন্তু তার ইচ্ছে ছিল নিজে কিছু করবেন। চাকুরি ছেড়ে তিনি চলে আসেন নিজ বাড়িতে।

২০১৫ সালে প্রথমে ২ বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষ শুরু করেন। ২০১৬ সালে তা বৃদ্ধি করে ৯ বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষ চলছে। সরেজমিন জমিতে গেলে দেখা যায়, এনামুল কবির ব্যস্ত সময় পার করছেন।

তিনি বলেন, চাকুরি তার ভালো লাগেনি। তাই বাড়িতে ফিরে এসে নতুন ফসল চাষে একটি প্রজেক্ট করেন। সেই প্রজেক্টের আওতায় শুরু করেন ড্রাগন চাষ। লাভের পরিমান বেশী হওয়ায় পর্যায়ক্রমে এই চাষ আরো বাড়িয়ে দেন। ৯ বিঘা জমিতে বর্তমানে ড্রাগন চাষ রয়েছে।

তিনি বলেন, আগামী ১ বছরের মধ্যে ড্রাগন ফল বিক্রির টার্গেট ১ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে ৩০ লাখ টাকার ড্রাগন ফল তিনি বিক্রি করেছেন।তিনি আরো বলেন, ড্রাগন এলাকাতে একবারেই অপরিচিত একটি ফল। দেশের বাইরে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ফলের ব্যাপক চাহিদা।

একটি ড্রাগন গাছ ৫ থেকে ৬ ফুট উচ্চ হয়। ভরা মৌসুমে একটি গাছ থেকে ৭ থেকে ৮ কেজি ফল সংগ্রহ করা যায়। ২শ থেকে ৩শ ৫০ টাকা দরে প্রতি কেজি ড্রাগন বিক্রি করা যায়। তার জমিতে ২৫ থেকে ৩০ জন মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। নির্ধারিত মজুরিতে তারা কাজ করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রইচ উদ্দিন বলেন, এনামুল কবির কৃষিতে বিপ্লব ঘটিয়েছে। উপজেলার জন্য তিনি গর্বের। তিনি বলেন, কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আমরা সব সময় তাকে পরামর্শ দিচ্ছি। তার চাষ পদ্ধতি দেখে এলাকার কৃষকরা উৎসাহিত হচ্ছে।

সূত্রঃ উদ্যোক্তার খোঁজে

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × two =

Back to top button