BreakingLead Newsকরোনাভাইরাস

ঢিলেঢালায় চলছে কঠোর বিধিনিষেধের তৃতীয় দিন!

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের তৃতীয়দিন চলছে অনেকটা ঢিলেঢালাভাবে। গণপরিবহন না থাকলেও রিকশা-ভ্যান ও সিএনজিতে যাতায়াত করছে অনেকে। আবার তাদের অনেককেই মাস্ক ছাড়া বের হলেও সতর্ক করতে দেখা যায়নি।

শনিবার (৩ জুলাই) রাজধানীর শনির আখড়া, কাজলা, যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এসব এলাকার মূল সড়কে মানুষ যত্রতত্র চলাচল করলেও কোনো কড়াকড়ি দেখা যায়নি। যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ সড়কে সিএনজি-প্রাইভেটকার চলাচল করলেও কোনো প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়নি।

শনির আখড়া-কাজলা সড়কে চেকপোস্টের কারণে গাড়ির চাপ কিছুটা কম দেখা গেছে। কিন্তু রিকশার চাপে কিছু কিছু জায়গায় জটলা বেঁধে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে ভ্যানযোগেও যাত্রা করছেন। মাঝে মাঝে বাইক-সিএনজি এলেও নানা অজুহাতে তারা যেতে পারছেন। কাজলা থেকে যাত্রাবাড়ী নিচের সড়ক ভাঙা থাকায় যানজট লক্ষ্য করা গেছে।

চালকরা বলছেন, যাত্রাবাড়ীতে যাওয়ার এ সড়কটির এমন বেহালদশা অনেক দিন ধরেই। যতো দিন যাচ্ছে ততো গর্ত বাড়ছে। এভাবে চলাচল করা একদিকে যেমন ঝুঁকির অন্যদিকে যানটেরও সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

পুলিশ বলছে, আজ সকাল থেকে রাস্তা অনেকটাই ফাঁকা। যারা বের হচ্ছেন নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে যৌক্তিক কারণ পেলেই ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। অন্যথায় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কিছু যানবাহনে থাকা যাত্রী ও চালক যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

রিকশাযোগে যাত্রা করা সুমাইয়া আশরাফ বলেন, ‘আমার বড় বোন অসুস্থ, তাই শনির আখড়া থেকে বাসাবো যাচ্ছি। কোনো পরিবহন না থাকায় রিকশায় রওনা হয়েছি। রাস্তায় কেউ আটকায়নি। আমাকে আটকালেও যৌক্তিক কারণ তো আছে, আমি তো ঘুরতে বের হইনি। এই সময়ে কেউ ঘুরতে বের হয় না।’

এদিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় আজ যাত্রাবাড়ীতে ২৫ জনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মাস্ক না পরা, বিধিনিষেধ অমান্য করে বের হওয়া, গণপরিবহন বন্ধ থাকার পরও বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে লোক নেয়ায় অনেক গাড়ি ও পিকআপ চালককে জরিমানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহনাজ হোসেন ফারিবা। ভ্রাম্যমাণ আদালত যাওয়ার পর যাত্রাবাড়ীতে কোনো কঠোরতা দেখা যায়নি।

করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। করোনাভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ২১টি শর্ত যুক্ত করে এ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 3 =

Back to top button