তালেবানের সাথে যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিদের বৈঠক
আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালেবানের হাতে যাওয়ার পরে এই প্রথম আফগানিস্তানে গিয়ে সরকারিভাবে তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিরা।
আফগানিস্তানে যুক্তরাজ্যের দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মার্টিন লংডেন এবং সাইমন গ্যাস আফগানিস্তানে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার তারা বৈঠক করেন তালেবান মন্ত্রিসভার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে।
বৈঠকের পর লংডেন টুইট করে একটি ছবি প্রকাশ করেন। সঙ্গে লেখেন, “তালেবান নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সব বিষয়ে স্বাভাবিকভাবেই মতের মিল হয়নি। তবে গুরুত্বপূর্ণ মানবিক বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”
যুক্তরাজ্যের দাবি, কয়েকটি বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে যুক্তরাজ্য। আফগানিস্তানে এখনো আটকে থাকা ব্রিটিশ এবং দেশের বাইরে যেতে চাওয়া আফগান নাগরিকদের সেফ প্যাসেজ দিতে হবে। হত্যা বন্ধ করতে হবে এবং নারীদের অধিকারের বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
কূটনীতিবিদদের একাংশের বক্তব্য, এই বৈঠকের মাধ্যমে তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক তৈরির রাস্তা তৈরি হলো। যদিও যুক্তরাজ্য এখনই সে কথা বলতে রাজি নয়। তাদের বক্তব্য, মানবিক বিষয়গুলিকে সামনে রেখে এদিন তালেবানের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। তালেবান মুখপাত্রও টুইট করেছেন এদিনের বৈঠকের বিষয়ে। তিনি জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক তৈরির বিষয়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে।
তালেবান ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তানের সমস্ত অ্যাসেট ফ্রিজ করে দিয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব। বিদেশ থেকে আফগানিস্তানের সমস্ত সাহায্য বন্ধ হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে তালেবান চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। ফলে তারা চাইছে, দ্রুত পশ্চিমা দেশগুলির সঙ্গে সমঝোতায় যেতে। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বৈঠক তারই অন্যতম পদক্ষেপ বলে মনে করছে তারা।
অ্যামনেস্টির মতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলি অবশ্য বলছে, মুখে শান্তির কথা বললেও আফগানিস্তানে একের পর এক হত্যার ঘটনা ঘটেই চলেছে। তালেবান ১১ জন হাজারাকে হত্যা করেছে বলে তাদের অভিযোগ। এছাড়াও নারীদের উপর নির্যাতন চলছে বলেও তারা দাবি করেছে।
সূত্র: রয়টার্স, এএফপি।