BreakingLead Newsআন্তর্জাতিক

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প : নিহত ছাড়িয়ে গেছে ১৬ হাজার

তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত হিসাব অনুযায়ী, দুই দেশে মোট নিহতের সংখ্যা ১৬,৩৮৩ জন। হিমশীতল আবহাওয়ায় এখনো অনেক লোক ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে আছে। উদ্ধারকারীরা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

কর্মকর্তা ও হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, সোমবারের ভূমিকম্পে তুরস্কে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত মৃত্যু হয়েছে ১২,৩৯১ জনের। আর সিরিয়ায় মারা গেছে ২,৯৯২ জন।

সূত্র : আল জাজিরা

তুরস্ক-সিরিয়া ভূমিকম্পে মৃত্যু ছাড়াতে পারে ২০ হাজার
তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২০ হাজারও হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে৷
উদ্ধারকর্মীদের সংগঠন হোয়াইট হেলমেট জানিয়েছে, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় দেড় হাজারের বেশি লাশ উদ্ধার হয়েছে, আহত হয়েছেন আড়াই হাজারের বেশি মানুষ৷

কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে, এখনো বিপুল পরিমাণ ধংসস্তুপ সরানো সম্ভব হয়নি৷ ফলে এর নিচে মানুষ চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা রয়েছে৷ যত সময় যাচ্ছে, কাউকে জীবিত উদ্ধার করতে পারার সম্ভাবনাও ফুরিয়ে আসছে৷

সোমবার স্থানীয় সময় ভোর রাতে প্রথমে ৭.৮ মাত্রার এবং পরে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে৷

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চল৷ এখানেই সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা লাখ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন৷

সিরিয়ায় তিন লাখ মানুষ বাস্তুচ্যূত

সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব গণমাধ্যম জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ফলে অন্তত তিন লাখ মানুষ তাদের ঘর-বাড়ি হারিয়েছেন৷ রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা সানা জানিয়েছে, বাস্তুচ্যূতদের আশ্রয় দিতে দেশজুড়ে ১৮০টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে৷

তবে এ পরিসংখ্যান কেবল সরকার নিয়ন্ত্রিত অংশের জন্যই প্রযোজ্য৷ বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের হিসাব দামেস্কের সরকারের কাছে নেই৷

এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে জরুরি সহায়তা চেয়ে আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছে সিরিয়া সরকার৷

বুধবার জোটের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিশনার ইয়ানেৎস লেনারকিক সাংবাদিকদের জানান, ‘আজ সকালে বেসরকারি নাগরিকদের সুরক্ষায় সিরিয়া সরকারের কাছ থেকে সহায়তার আবেদন পেয়েছি আমরা৷’

তিনি জানান, জোটের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে এই আহ্বানে সাড়া দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে৷ তবে একইসাথে এই সহায়তা যাতে দামেস্ক সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে না যায়, সেটি নিশ্চিতেরও আহ্বান জানানো হয়েছে৷

২০১১ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের পর থেকে সিরিয়ার ওপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷

সিরিয়ার বিদ্রোহী-অধ্যুষিত অঞ্চলে উদ্ধারকাজ চালানো সংগঠন হোয়াইট হেলমেটও আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে৷ গৃহযুদ্ধ চলাকালে দেশটির বেসামরিক জনগণকে রক্ষায় গড়ে ওঠে এই সংগঠন৷
সূত্র : ডয়চে ভেলে

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 + nine =

Back to top button