দুস্থদের টাকাতেও ভাগ বসিয়েছেন নেতারা: রিজভী
করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী দুস্থদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নগদ আড়াই হাজার টাকায়ও সরকারি দলের নেতারা ভাগ বসিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার (১৭ মে) সকালে ময়মনসিংহের পাইথলিন ইউনিয়নে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডাক্তার মোফাখখারুল ইসলাম রানার উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় রিজভী আরও বলেন, সারাদেশে দুর্ভিক্ষের ছায়া নেমে এসেছে। যারা দিন আনে দিন খায়, গরিব, অসহায়, কর্মহীন মানুষ তারা এখন অনেক কষ্টে আছেন। অথচ জনগণের টাকায় কেনা ত্রাণ চেয়ারম্যান-মেম্বার ও আওয়ামী লীগের নেতারা চুরি করছেন, আত্মসাৎ করছেন। কি অদ্ভুত ব্যাপার? মানুষ মরছে, হাহাকার করছে, কাজে যেতে পারছে না আর সরকারের লোকেরা ত্রাণ চুরি করছেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫০ লাখ লোককে এক হাজার দুইশ ৫০ কোটি টাকা দেবেন। আমরা এখন সেই খবর দেখছি সরকারের লোকেরা প্রতিজনের কাছ থেকে ৫০০ টাকা রেখে দুই হাজার টাকা দিচ্ছেন। আবার যারা তালিকা করছেন তাদের নিজস্ব লোক আত্মীয়-স্বজনদের নাম তালিকায় দিচ্ছেন। গরিব মানুষের নাম তালিকায় থাকে না। তালিকা এমন ভাবে করেন যেন প্রতিষ্ঠানের মালিকের নাম আছে কর্মচারীর নাম নেই। তাহলে কোন পরিস্থিতি বিরাজ করছে একবার চিন্তা করুন। এটা তো জনগণের টাকা। সরকার কিংবা আওয়ামী লীগের টাকা নয়। মহাদুর্যোগের মধ্যেও গরিব অসহায় মানুষের টাকা আত্মসাৎ করা হলে তাহলে তারা কোথায় যাবে। তারা তো না খেয়ে মারা পড়বে।
তিনি বলেন, চীনে জানুয়ারি মাসে করোনা মহামারি শুরু হয়। তখন থেকে আমাদের দেশে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার ছিল। বাংলাদেশ সরকার সে পদক্ষেপ নেয়নি। অন্যান্য অনেক দেশ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ায় তারা ভালো আছে। আর বাংলাদেশ পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রতিদিন এক হাজারের বেশি লোক আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন লোক মারা যাচ্ছে। সরকার করোনা নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।