ফাইভ-জি যুগে বাংলাদেশ; ২০০ এলাকায় সেবা দেয়ার পরিকল্পনা
সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তি তথা ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। আপাতত দেশের ৬টি এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভ-জি সেবা চালু করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটক এই সেবা প্রদান করবে বলে জানা গেছে।
রাজধানীর র্যাডিসন ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এর উদ্বোধন করা হয়। রোববার থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষামূলক এই ফাইভ-জি সেবায় প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছে হুয়াওয়ে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ উচ্চগতির মোবাইল ইন্টারনেটের জগতে পা রাখল।
অবশ্য টেলিটক এই সেবা দিলেও শুরুতেই দেশের সকল গ্রাহক ফাইভ-জি সেবা উপভোগ করতে পারছেন না। কারণ প্রথম পর্যায়ে ৬টি স্থানে মিলবে এই সেবা। সেগুলো হলো— প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সচিবালয়, জাতীয় সংসদ ভবন, ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর, সাভারের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এলাকা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়া।
এদিন অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পর্যায়ক্রমে জেলা পর্যায়ে এই ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করবে টেলিটক কর্তৃপক্ষ। আগামী ২০২২ সালের মধ্যে দেশের ২০০টি এলাকায় এই সেবা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে রাষ্ট্রায়ত্ত এই প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশে ফাইভ-জি চালু হয়েছে।