দ্বিতীয়বার জনসমক্ষে মাফ চাইলেন নরেন্দ্র মোদি
গুজরাট দাঙ্গার জন্য তাকে অভিযুক্ত করা হয়। কিন্তু সেজন্য কখনোই মাফ চাননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত, জিএসটি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনসহ (সিএএ) বিভিন্ন সময় তার ক্ষমা চাওয়ার দাবি ওঠেছিল।
এক্ষেত্রে তার দর্শন, যদি কোনো অপরাধ করে থাকি তা হলে আমাকে ক্ষমা করাই উচিত নয়। সেই মোদি দুই বছরের মধ্যে দুবার দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন। কৃষক আইনের আগে করোনার লকডাউন নিয়েও ক্ষমা চেয়েছিলেন মোদি
শুক্রবার কৃষি আইনকে কেন্দ্র করে তিনি ক্ষমা চান। দীর্ঘ দিন গোঁ ধরে থাকার পর এই বিতর্কিত আইন থেকে পিছু হটে মোদি বলতে বাধ্য হন, দেশবাসীর কাছে আমি ক্ষমা চাইছি। কৃষকদের আমরা বোঝাতে পারিনি। তবে আমাদের চেষ্টায় কোনো ত্রুটি ছিল না।
এর আগে গত বছরের মার্চে কোভিড সংক্রমণের জন্য লকডাউনের ঘোষণার প্রেক্ষিতে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছিলেন মোদি। ভারতের মতো বিশাল দেশে পরিকল্পনাহীনভাবে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন তিনি। ফলে হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক, সাধারণ মানুষকে চরম সঙ্কটের মুখে পড়তে হয়েছিল। তখন তিনি বলেছিলেন, এই কঠিন পদক্ষেপ আপনাদের জীবনে অনেক সমস্যা ডেকে এনেছে। বিশেষ করে গরিব মানুষের। তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
এক সময় ক্ষমাকে দুর্বলতার লক্ষণ মনে করা নরেন্দ্র মোদির দুই-দুইবারের ক্ষমা প্রার্থনাকে কেন্দ্র করে দেশটির বিরোধীরা সরব হয়েছেন। তারা বলছেন, মোদি ক্ষমা চাইতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে তার ঔদ্ধত্যের বিনাশ হচ্ছে। কেউ আবার বলেছেন, বোঝা যাচ্ছে ব্যাকফুটে চলে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তার ঔদ্ধত্যের পরাজয় ঘটছে।
তবে মোদির এই সিদ্ধান্তের ঘোষণাতে ইতিবাচক মোদিকে খুঁজে বের করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই ঘটনায় তিনি মোদির মধ্যে ‘যোগ্য রাষ্ট্রনায়ককে’ খুঁজে পেয়েছেন। অমিত শাহ বলেন, এই সিদ্ধান্ত থেকেই বোঝা যায়, ভারতীয় নাগরিকের কল্যাণের কথা ছাড়া প্রধানমন্ত্রী অন্য কিছু চিন্তাই করেন না। একজন যোগ্য রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে নজির স্থাপন করেছেন তিনি।