জাতীয়

ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান ওবায়দুল কাদেরের

জনভোগান্তির কথা বিবেচনা করে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার ঢাকায় নিজের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে পরিবহন মালিক শ্রমিকরা আজ থেকে পরিবহন ধর্মঘটের যে ডাক দিয়েছেন, তাতে পরীক্ষার্থী এবং জনগণের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে  এ ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।”

সরকারের বুধবার মধ্যরাত থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর পর বৃহস্পতিবার ধর্মঘটে যাওয়ার ঘোষণা দেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।

বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন এবং বাংলাদেশ ট্রাক-কভার্ড ভ্যান ড্রাইভার ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার অথবা ভাড়া বাড়ানো না হলে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে বাস এবং পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে।

ভাড়া বাড়ানোর জন্য বৃহস্পতিবারই সরকারের কাছে প্রস্তাব দেয় মালিক-শ্রমিকদের সংগঠনগুলো।  কিন্তু সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রোববার বৈঠক ডাকায় অন্তত তিন দিনের জনভোগান্তি অবধারিত হয়ে ওঠে।

ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার সকাল থেকেই যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। তাতে ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ। দূরপাল্লার যাত্রীদের বাস টার্মিনালে গিয়ে পরে ফিরে যেতে হয়। আর রাজধানীতে সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষা এবং বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে বেরিয়ে যানবাহন সঙ্কটে ভুগতে হয় হাজারো মানুষকে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “আগামী ৭ নভেম্বর  রবিবার বিআরটিএ’র ভাড়া পুনঃনির্ধারণ কমিটির বৈঠক হবে। সেখানে সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের সাথে আলাপ আলোচনা করে বাস্তবভিত্তিক মূল্য সমন্বয়ের মাধ্যম জনগণের উপর বাড়তি চাপ সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করা হবে।”

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু সেতু ও মুক্তারপুর সেতুর টোলও বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, “ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বৃদ্ধির কারণে অনুমোদিত যানবাহনের শ্রেণিবিন্যাস এবং টোলহার বৃদ্ধি করা হয়েছে।”

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুতে সর্বশেষ ২০১১ সালে টোলহার বাড়ানো হয়েছিল, আর ২০০৮ সালে মুক্তারপুর সেতু চালু হবার পর এই প্রথম সেখানে টোলহার বাড়ানো হল। ‘বাস্তবভিত্তিক ও যৌক্তিক হারে’ টোল বৃদ্ধির বিষয়টি মেনে নেওয়ার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানান সেতুমন্ত্রী।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × two =

Back to top button