ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার শুধু নারী ও শিশু নয়, গোটা বাংলাদেশকেই ধর্ষণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সরকারের পালানোর পথ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ শিরোনামে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে মির্জা ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
এই সরকারের সাথে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই মামলা হয়। করেছেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হতাশা প্রকাশ করে কেউ মন্তব্য করলেও রক্ষা পাচ্ছেন না। গৃহবধূ থেকে শুরু করে যে কাউকে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। নোয়াখালীর ঘটনা একদিনের নয়। সেখানে পুলিশ নিরব। মানুষ এখন আওয়ামী লীগকে ভয় পায় না, ভয় পায় পুলিশকে। কক্সবাজারে কী হলো? দেশের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের হত্যা করেছেন গুম করেছেন। এদের কী বিচার পাওয়ার অধিকার নেই। যার কারণে এই সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।’
ফখরুল বলেন, ‘সরকারকে বলব রাজপথের দেয়ালের ভাষা পড়ুন। এই দেশের মানুষ মুক্ত ও স্বাধীন বাংলাদেশ চায়। দেশবাসীকে বলব, যে দানব আমাদের বুকে উপর বসে আছে তাকে সরাতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। সরকারকে বলব, পদত্যাগ করুন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। চারদিকে পালানোর কোনো পথ নেই। এই সরকারের পালানোর কোনো পথ নেই। তাই সরকারকে বলব, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।’
সংগঠনের আহ্বায়ক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুণ রায়ের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, সুপ্রিম কোর্ট বারের মহাসচিব রুহুল কুদ্দুস কাজল, দলটির কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, বজলুর বাছিত আন্জু, সরাফত আলী সপু, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, খন্দকার আবু আশফাক, আনোয়ার হোসাইন, আবদুল কাদির ভূইয়া জুয়েলসহ ছাত্রদল ও যুবদলের নেতারা।