নতুন নেতৃত্বের জন্য কাঁদছে আমেরিকা : কমলা
সদ্য রানিং মেট করা কমলা হ্যারিসকে নিয়ে প্রথমবারের মতো নির্বাচনী প্রচারণায় দেখা গেল ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেনকে। বুধবার ওই নির্বাচনী প্রচারণায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একহাত নেন বাইডেন ও কমলা।
প্রায় এক মাসের বিচার-বিশ্লেষণ শেষে গত মঙ্গলবার কমলাকে ‘রানিং মেট’ হিসেবে ঘোষণা করেন বাইডেন।
পরদিনই বাইডেনের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণায় নামেন কমলা। সেখানে করোনা মহামারী মোকাবিলায় ট্রাম্পের নেতৃত্বের ঘাটতি নিয়ে আক্রমণ করেন তিনি।
কমলা বলেন, ‘ভাইরাসটি প্রায় প্রতিটি দেশেই প্রভাব ফেলেছে। তবে যে কোনো উন্নত দেশের চেয়ে আমেরিকার যে বাজে পরিস্থিতি হয়েছে তার কারণ রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এটি ট্রাম্পের ব্যর্থতা, শুরুতে তিনি এটিকে (করোনাভাইরাস) গুরুত্ব দেননি। করোনা টেস্ট চালানো, সামাজিক দূরত্ব মানা এবং মাস্ক পরা নিয়ে উল্টাপাল্টা বক্তব্য দেন। তিনি এমন বিভ্রান্তিকর যে, তাঁর বিশ্বাস তিনি বিশেষজ্ঞদের থেকেও ভাল জানেন।’
এ রাজনীতিবিদ বলেন, শতাব্দীর সবচেয়ে জনস্বাস্থ্য সংকটে আমরা। মহামারী নিয়ে প্রেসিডেন্টের (ডোনাল্ড ট্রাম্প) অব্যবস্থাপনা বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটে ডুবিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘নতুন নেতৃত্বের জন্য কান্না করছে আমেরিকা। যদিও আমাদের একজন প্রেসিডেন্ট আছে, কিন্তু তিনি নিজেকে নিয়েই ভাবেন বেশি, মানুষদের নিয়ে নয়-যারা তাকে নির্বাচিত করেছিল।’
বাইডেন সম্পর্কে কমলা বলেন, ‘তিনি (বাইডেন) এমন একজন, যিনি কখনো বলেন না যে, কেন এমনটা আমার সঙ্গে হচ্ছে। বরং তিনি জিজ্ঞাসা করেন, আমি আরো ভাল করতে কী করতে পারি। আরেকজনের প্রতি তাঁর এমন সহানুভূতি ও দায়িত্ববোধ-যার কারণে তাঁর রানিং মেট হতে পেরে আমি গর্বিত।’
এর আগে ৫৫ বছর বয়সী কমলাকে রানিং মেট নির্বাচিত করে তাঁকে ‘অকুতোভয় যোদ্ধা’ আখ্যা দেন বাইডেন।