নিজের আঁকা ছবি বিক্রি করে দশম শ্রেণির ছাত্রী করছে আদিবাসীদের সহায়তা
প্রাতিষ্ঠানিক কোনো প্রশিক্ষণ না থাকলেও সুনিপুণ তুলির টানে আঁকছে দৃষ্টিনন্দন সব ছবি দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরি সুত্রা চাকমা। আর সেই ছবি বিক্রির টাকায় সহায়তা করছেন তিন পার্বত্য জেলার অসহায় মানুষকে। টানাটানির সংসারে মেয়ের ছবি আঁকায় বাবার সায় না থাকলেও, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা ছুঁয়ে গেছে তাকেও।
রবীন্দ্রনাথের স্কেচ আকছে, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক, তুমি কোন কাননের ফুল, কোন গগণের তারা।
এখনো ফুরোয়নি কৈশর, তবুও কচি হাতের কাঠ পেন্সিলে উঠে আসছে পৃথিবীটা। যেখানে আছে মানুষের জন্যে উৎকণ্ঠা আর ভালোবাসা। আর তাই কি বলবো তাকে, ছবি আঁকিয়ে নাকি রঙের ফেরিওয়ালা?
বেঁচে থাকার গল্পে সে ফেরি করে বেড়াচ্ছে রবীন্দ্রনাথকে, একজন বই বাঁধাইওয়ালাকে, একজন জাতির পিতাকে, কখনও আবার এক টুকরো বাংলাদেশকে। আর ফেরি করা সেই অল্প পুঁজিই পৌছে যাচ্ছে মানবতার কাছে।
নেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কিংবা গুরুর আশীর্বাদ, ছিল পারিবারিক বাধাও। তবে যে বাবা ছিল বাধার পাহাড়, মেয়ের এমন সৃষ্টিতে সেই বাবাই এখন গর্বের পাহাড়চূড়ায়।
কিন্তু গল্পটি এখানেই থেমে থাকবার নয়। শুধুই এগিয়ে যাবার। দুচোখ জুড়ে আছে সেই স্বপ্নের আঁকিবুকিও।
সময়টা হয়তো এখন থমকে দাঁড়িয়ে আছে, ছেয়ে আছে নিরাশাও। তবু ঘরের কোন এক নির্জন কোনে, সুত্রার মন একে চলে একদিন আকাশ জুড়েই হবে স্বপ্নের ক্যানভাস।