নির্দিষ্টমূল্যে ইন্টারনেট সেবা না দিলেই আইনানুগ ব্যবস্থা
দেশে সম্প্রতি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম নির্ধারন করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। সেই প্রেক্ষিতেই নির্ধারিত মূল্যে ইন্টারনেট সেবা প্রদান না করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
সারাদেশে ৫ এমবিপিএসের দাম হবে ৫০০ টাকা, ১০ এমবিপিএসের দাম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএসের দাম ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে। প্রতি সংযোগে সর্বোচ্চ ৮ জন গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে।
বিটিআরসির গণমাধ্যম শাখার উপপরিচালক জাকির হোসেন খাঁন বলেছেন, “দেশের কোনো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গ্রাহক যদি নির্ধারিত মূল্যে সংযোগ না পায়, তাহলে ১০০ নম্বরে কল করে অভিযোগ জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কোনো সেবাদাতা লাইসেন্সির নিয়ম ভাঙতে পারবে না। নিয়ম অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি”।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) এর সভাপতি আমিনুল হক বলেন, ” বিটিআরসি কতৃক নির্ধারিত মূল্যে ব্যান্ডউইথ সংযোগ দিতে সমস্যা হবে না। তবুও কেউ যদি কোনো সমস্যার সম্মুখীন হয়, তবে আইএসপি’র সাথে কথা বলে আমরা বিষয়টি সমাধান করবো”।
বিটিআরসি জানায়, দেশের সকল অপারেটরদের খরচ ও বাজার বিশ্লেষণ, ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে(আইআইজি) এর ব্যান্ডউইথ দর, ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক(এনটিটিএন) এর ট্রান্সমিশন দর, পয়েন্ট অব প্রেজেন্স (পপ), ইকুইপমেন্ট ক্যাপাসিটি ব্যাক-আপ ব্যবস্থার সার্বিক মূল্যায়ন ও বিচার বিবেচনা করে এই যৌক্তিক ও গ্রহনযোগ্য ইন্টারনেট ট্যারিফ নির্ধারন করা হয়েছে।
গত ৬ জুন বিটিআরসি কতৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে “এক দেশ, এক রেট” ট্যারিফ উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। অনুষ্ঠানে আরও বলা হয়, দেশে মোট ৯৮ লক্ষ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গ্রাহক রয়েছে। এই গ্রাহকেরা দেশের ৫৮ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে।