নির্ধারিত দাম মানছে না আলু ব্যবসায়ীরা
সরকারের পক্ষ থেকে দাম বেঁধে দেয়া হলেও বাজারে আলুর দাম বেশ চড়া। খুচরা বাজারে ৩০ টাকা দরে আলু বিক্রি করার জন্য সরকারিভাবে নির্দেশনা দেয়া হলেও গতকাল আলু বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে।
আলুর দাম তিন পর্যায়ে নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এরমধ্যে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ৩০ টাকা, পাইকারিতে ২৫ ও হিমাগার থেকে ২৩ টাকা দরে আলু বিক্রির কথা বলা হয়েছে।
গতকাল কৃষি বিপণন অধিদফতর থেকে আলুর দাম বেঁধে দেয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে দিনজুড়েই সর্বোত্রই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে আলু। কমে দামে আলু পাওয়ার আশায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে অনেক ক্রেতাই বাজারে ছুটে যান। তবে বাজারে গিয়ে তাদের হতাশ হতে হয়েছে। কারণ আগের মতোই আলুর জন্য চড়া দাম গুনতে হয়েছে।
সরকারি নির্দেশনার বাইরে গিয়ে বাড়তি দরে আলু বিক্রি করা হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। গতকাল কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে আলুর দর নির্ধারণ করে দেয়া হয়। ইতোমধ্যে এই নির্দেশনার চিঠি দেশের সকল জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, গত ১০ সেপ্টেম্বর বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর দাম ছিল ৩০ টাকা। এক মাসের ব্যবধানে সেই আলুর দর উঠে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। আলুর পাইকারী বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে খুচরা বাজারে দাম বেড়ে যায়।
দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ার ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা বেশ কয়েকটি কারন দেখিয়েছেন। তাদের মতে গত মার্চ এপ্রিল থেকে শুরু করে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতার মাঝে দেশব্যাপী বিপুল পরিমাণ ত্রাণ বিতরণ হয়েছে। এসব ত্রাণের প্রতিটি প্যাকেটেই আলু একটি কমন আইটেম ছিল। এতে করে প্রচুর আলুর ব্যবহার হয়েছে। অন্যান্য সবজি ক্ষেতে নষ্ট হয়েছে। ঘরে ঘরে আলু পৌঁছে গেছে। মানুষ আলু ব্যবহার করেছে। এতে করে আলুর মজুদ শেষ পর্যায়ে।
ব্যবসায়ীরা বলেছেন আলুর উৎপাদন কম হওয়াও একটি অন্যতম কারন । বন্যায় নতুন আলুর রোপণ করাও সম্ভব হয়নি। উল্টো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অন্যান্য সবজির দামও ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বেড়ে গেছে আলুর দাম। অবশ্য ক্রেতারা এ বক্তব্য নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, সিন্ডিকেটের কারসাজিতে আলুর দাম বেড়েছে। সরকার যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রন করতে পারলে আলুর দাম কমে আসবে।