নোয়াখালীতে গরু চুরির হিড়িক, রাত জেগে পাহারা
নোয়াখালী জেলার চাটখিলের দক্ষিণ অঞ্চলে গরু চুরির হিড়িক পড়েছে। প্রতিনিয়ত চুরি হচ্ছে লোকজনের গৃহপালিত গরু। গত ৪ থেকে ৫ মাসে এখানে ২৫ থেকে ৩০টি গরু চুরি হয়েছে। এতে করে গরু পালনকারী ও খামারীরা রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন তাদের গরু।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৯নং খিলপাড়া ইউনিয়নের বালিয়াধর গ্রামের এতিম আলী ভূইয়া বাড়ির সহিদ, দক্ষিণ দেলিয়াই নোয়াবাড়ীর মোস্তফার গাভী এবং বালিয়াধর গ্রামের ধোয়া বাড়ির শংকর এবং দক্ষিণ শংকরপুর আখন বাড়ির বেলালের ষাড় চুরি হয়েছে। এ ছাড়া গত ৪ থেকে ৫ মাসে দত্তেরবাগ, শ্রীরায়, সাহাপুর, সোমপাড়া, ধর্মপুর, সোবহানপুর, রামনারায়ণপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের ২৫ থেকে ৩০টি গরু চুরি হয়েছে। চোরের দল রাতে পিকআপ নিয়ে এসে গোয়াল থেকে গরু বের করে পিকআপে করে অল্প সময়ের মধ্যে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। বর্তমানে যারা গরু এবং গাভী পালন করে জীবিকা নির্বাহ করছেন তারা রাত জেগে তাদের গরু পাহারা দিচ্ছে এবং দুশ্চিন্তায় দিনাতিপাত করছে। একটি সংঘবদ্ধ দল গরু চুরির এ কাজ করে চলেছে। তাছাড়া গরুর বর্তমান দাম বেশি হওয়ায় চুরির তৎপরতাও বেড়ে গেছে।
দক্ষিণ দেলিয়াই গ্রামের মোস্তফা জানান, তিনি গাভীর দুধ বিক্রি করে সংসার চালাতেন। তার গাভীটি চুরি করে নেয়ায় তিনি এখন তার সংসার চালাতে পারছেন না। বালিয়াধর গ্রামের খালেদ খোকন জানান, গরু চুরির ঘটনায় তিনি পুলিশকে জানালেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। পিকআপে করে গরু চুরি করে নিয়েছে। অথচ থানা পুলিশের কয়েকটি ভ্যান প্রতিনিয়ত টহল দিচ্ছে। এরা একটি গরুও উদ্ধার করতে পারেনি।
থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল ইসলাম জানান, গরু চুরির ঘটনায় থানায় ৩টি মামলা হয়েছে এবং কয়েকজন গরু চোরকে গ্রেফতার হয়েছে। তিনি খিলপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে গরু চুরির ঘটনাসমূহ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।