পণ্যের অর্ডার নেয়া বন্ধ ঘোষণা করেছে ইভ্যালি
দেশের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেলকে গ্রেপ্তারের পর ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। প্রধান দুই কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে ‘আপাতত’ পণ্যের অর্ডার নেওয়া বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত দেড়টার দিকে ইভ্যালির ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ প্রকাশ করা হয়।
ইভ্যালির একটি অফারের নাম ‘টি-টেন’। এর আওতায় মাত্র ১০ শতাংশ মূল্য অগ্রিম পরিশোধ করেই ১০ দিনের মধ্যে পণ্যটি হাতে পাওয়া যাবে। ফেসবুকে প্রকাশ করা ঘোষণায় বলা হয়েছে, “আমাদের প্রধান দুজন কর্মকর্তা অনুপস্থিত থাকায় টি-টেন এর সকল অর্ডার বন্ধ থাকছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আপনারা আবার অর্ডার করতে পারবেন।”
গ্রেপ্তারের একদিন পর গতকাল শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে আদালতে তোলা হয় ইভ্যালির দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে। তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক ওয়াহিদুল ইসলাম ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিলেন। অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন মহানগর হাকিম।
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় দায়ের করা একটি মামলার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেলকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পরদিন শুক্রবার এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং করে র্যাব।
র্যাবের ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে, “গ্রাহককে ধোঁকায় ফেলতে ব্যবসার নেতিবাচক স্ট্র্যাটেজি গ্রহণ করেন ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল। তারা দুজন প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৫ লাখ করে ১০ লাখ টাকা বেতন নিতেন। চড়তেন দামি গাড়িতে। গত কয়েক বছরে সাভারে কোটি কোটি টাকা সম্পদ গড়েছেন রাসেল।”