পাকিস্তানকে সৌদির অর্থ সহায়তা; ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে ‘খয়রাতি’
পাকিস্তানের অর্থসংকট মোকাবিলায় ৪২০ কোটি ডলারের সহায়তা দিচ্ছে সৌদি আরব। এর মধ্যে ৩০০ কোটি ডলার যাবে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে, বাকি ১২০ কোটি ডলার পাবে তেল সহায়তা হিসেবে। পাকিস্তানি গণমাধ্যমগুলোর খবরে এ তথ্য জানা গেছে।
দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়েছে, মোটা অংকের অর্থসাহায্যের জন্য সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
টুইটারে তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ৩০০ কোটি ডলার জমা এবং ১২০ কোটি ডলার পরিশোধিত পেট্রোলিয়ামে অর্থায়নের জন্য আমি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। কঠিন পরিস্থিতিতে সৌদি আরব সবসময় আমাদের পাশে থেকেছে। এখন বিশ্বব্যাপী দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মুখেও তারা পাশে রয়েছে।
এর আগে, সৌদি আরব থেকে সহায়তা পাওয়ার বিষয়টি টুইটারে নিশ্চিত করেন পকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী। বুধবার (২৭ অক্টোবর) এক টুইটে তিনি জানান, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আমানত হিসেবে ৩০০ কোটি ডলার এবং বছরে ১২০ কোটি ডলারের পেট্রোলিয়াম পণ্য দিয়ে সাহায্য করবে সৌদি আরব।
এদিকে, সৌদি থেকে পাকিস্তানের অর্থসাহায্য নেওয়াকে ‘খয়রাতি’ উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা। অনলাইনে তাদের প্রতিবেদনের শিরোনামে বলা হয়েছে, ‘অর্থসংকটে বিপর্যস্ত ইমরান সরকারকে সৌদির খয়রাতি ৩১ হাজার কোটি’।
ভেতরে বলা, প্রবল অর্থসংকটে বিপর্যস্ত পাকিস্তান সরকারকে ৪২০ কোটি ডলার (প্রায় ৩১ হাজার ৫০৯ কোটি রুপি) সাহায্য দেবে সৌদি আরব। পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে এই প্রস্তাব দিয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহম্মদ বিন সালমান। তিন দিনের সফরে গিয়ে সৌদির রাজধানী রিয়াদে সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন ইমরান। সেখানেই পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ৩০০ কোটি ডলার (প্রায় ২২ হাজার ৫০৬ কোটি রুপি) জমার প্রস্তাব দেন সৌদি যুবরাজ। পাশাপাশি, ১২০ কোটি ডলারের (প্রায় ৯ হাজার ৩ কোটি রুপি) পেট্রলজাত পণ্য ‘খয়রাতির’ কথাও জানান তিনি।
এর আগে, বাংলাদেশি পণ্যে বেইজিং-এর শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিতের ঘটনাকে ‘খয়রাতি’ আখ্যা দিয়ে তোপের মুখে পড়েছিল আনন্দবাজার। পরে নিজেদের ভুল স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চায় তারা।