পাকিস্তান তালেবানকে বিমান দিয়ে সহায়তা করছে
আফগানিস্তানের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট অভিযোগ করেছেন, তালেবানকে বিমান দিয়ে প্রকাশ্যে সহায়তা করছে পাকিস্তান। তবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বিবিসির খবর অনুসারে, আফগানিস্তান থেকে আমেরিকান সেনা প্রত্যাহারের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই ঝড়ের গতিতে একের পর এক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিচ্ছে তালেবান। বহু আগে থেকে গুঞ্জন রয়েছে তালেবানকে সামরিকসহ বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছে পাকিস্তান।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আফগানিস্তানের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ অভিযোগ করেন, স্পিন-বলদাক সীমান্ত দখলের পর পাকিস্তান সেনাবাহিনী তালেবানকে সহায়তা দিচ্ছে। আমরুল্লাহ সালেহ বলেন, আফগান সেনাবাহিনীকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী অফিসিয়ালি হুমকি দিয়েছে যে, তালেবানকে স্থানচ্যুত করতে চাইলে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী প্রতিহত করবে।
আফগান সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তা আরও অভিযোগ করছেন, পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী কিছু এলকায় তালেবান যোদ্ধাদের বিমান দিয়ে সহায়তা করছে।
তবে শুক্রবার এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে। বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তানের বিমানবাহিনী শুধুমাত্র পাকিস্তানের আকাশসীমা রক্ষার জন্য নিয়োজিত।
এর আগে গত বুধবার পাকিস্তানের সমুদ্রবন্দরগুলোর সঙ্গে আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদারটি দখলে নেয় তালেবান যোদ্ধারা।
সীমান্ত ক্রসিং দখলে নেওয়ার পর একটি ভিডিও বার্তা প্রচার করে তালেবান বাহিনী। এতে দেখা যায়, সীমান্তের পাকিস্তান-আফগানিস্তান ফ্রেন্ডশিপ গেইটের সামনে যোদ্ধারা সাদা কাপড়ে কালো অক্ষরে লেখা পতাকা ওড়াচ্ছে।
এই ক্রসিংয়ের এক পাশে আফগানিস্তানের ওয়েশ শহর অন্যপাশে পাকিস্তানের চামান শহর অবস্থিত। স্পিন-বলদাক জেলার এই সীমান্ত ক্রসিংটি দক্ষিণাঞ্চলের বাণিজ্যের ধমনী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।