বৃষ্টির কারণে রোববার বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে ভারত-শ্রীলংকা সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ভেস্তে গেছে। পিচ শুকাতে মাঠকর্মীরা হাজারো চেষ্টা করলেও ম্যাচ শুরু করা যায়নি। এক বলও গড়ায়নি মাঠে।
এদিন পিচের ভেজা অংশ শুকাতে অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করেন মাঠকর্মীরা। ব্যবহার করেন হেয়ার ড্রায়ার, ইস্ত্রি (আয়রন) ও ভ্যাকিউম ক্লিনার। তবে কিছুতেই কাজ হয়নি। এই যুগেও হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে মাঠ শুকানোর চেষ্টা করায় সমালোচিত হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যঙ্গ-বিদ্রুপও চলছে সমানতালে। সাবেক ভারতীয় ওপেনার আকাশ চোপড়া সরাসরি সম্প্রচারের সময় বলেন, আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনে বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে ত্রুটি রয়েছে। কারণ, কভারের ফাঁক দিয়ে পানি পড়ছে ২২ গজে।
তিনি বলেন, এটি স্কুলের ছেলেদের মত ভুল। আউটফিল্ড একেবারে শুকনো। কিন্তু পিচে পানি ঢুকছে। সম্ভবত আচ্ছাদনের কিছু জায়গায় ছিদ্র রয়েছে। আন্তর্জাতিক ম্যাচের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে এটা হতাশাজনক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রিকেটপ্রেমীরা আসাম ক্রিকেট সংস্থাকে (এসিএ) তুলোধুনো করে ছাড়ছেন। বিশেষ করে হেয়ার ড্রায়ারের ব্যবহার তুমুল সমালোচিত হচ্ছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) নিয়ে যে যার মতো হাসি, ঠাট্টা, তামাশা, মশকরা করছেন সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্টরা।
নন্দন প্রতীম শর্মা টুইটারে লিখেছেন, লজ্জা!লজ্জা! পিচ শুকাতে হেয়ার ড্রায়ার, ইস্ত্রি (আয়রন) ও ভ্যাকিউম ক্লিনারের ব্যবহারে বিস্মিত হয়েছেন বিরাট কোহলিও। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটাই পরিত্যক্ত হয়ে গেছে।
আহসান নামে এক ক্রিকেটভক্ত লিখেছেন, বিসিসিআই (বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড)বৃষ্টির পর পিচ শুকাতে হেয়ার ড্রায়ার, ইস্ত্রি (আয়রন) ও ভ্যাকিউম ক্লিনার ব্যবহার করছে।
নাজিব উল হাসনাইন লিখেছেন, পিএসএলের তৃতীয় আসরে লাহোর গাদ্দাফি স্টেডিয়াম শুকাতে দুটি হেলিকপ্টার ব্যবহার করে পাকিস্তান। দেখুন, গুয়াহাটিতে ভারত কি করছে, পিচ শুকাতে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করছে।
আজম আমিন লেখেন, পিচ শুকাতে এখন হেয়ার ড্রায়ার ও স্টিম আয়রন ব্যবহার হচ্ছে। শ্রীলংকার উচিত আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের কভার ভারতকে এনে দেয়া।
উল্লেখ্য, প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি পরিত্যাক্ত হওয়ায় কার্যত সিরিজটি হয়ে দাঁড়িয়েছে দুই ম্যাচের। মঙ্গলবার ইন্দোরে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে লংকানদের মুখোমুখি হবে ভারত। সিরিজের শেষ ম্যাচ হবে শুক্রবার পুনেতে, সূত্র : আনন্দবাজার।