পুরো কুরআন হাতে লিখলেন জীবনযুদ্ধে অবতীর্ণ ২৪ বছরের ফিলিস্তিনি যুবতী
পবিত্র কুরআনুল কারিমের সম্পূর্ণ অংশই হাতে লিখে শেষ করেছেন জীবনযুদ্ধে অবতীর্ণ ২৪ বছরের ফিলিস্তিনি নারী সায়িদা আক্বাদ। ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলের সাথে যুদ্ধে প্রায় বিধ্বস্ত দেশ ফিলিস্তিনের রামাল্লার অধিবাসী এই প্রত্যয়ী যুবতী।
পুরো কুরআন শরীফ হাতে লিখতে সায়িদার সময় লেগেছে তিন বছর। যেখানে মানুষ জীবন-মৃত্যুর শংকায় নিত্যদিন কাটায়, সেখানে সায়িদার এ অসাধারণ কর্মকাণ্ড সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।
ফিলিস্তিনের প্রশাসনিক কাজকর্ম পরিচালনার শহর রামাল্লায় সায়িদা আক্কাদের বসবাস। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ রামাল্লায় জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার পাশাপাশি পুরো কুরআন মাজিদ হাতে লিখার কারণেই বেশ কিছু স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এ প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে।
ফিলিস্তিনের অধিবাসীরাসহ সমগ্র বিশ্বই ২৪ বছর বয়সী সায়িদা আক্কাদের এ কাজে অবাক। এ অসামান্য কাজ দেখতে প্রতিবেশীরা ভিড় জমাচ্ছে তার বাড়িতে। সায়িদা আক্কাদের পিতা রামাল্লায় ফলের ব্যবসা করেন। সে পরিবারের বড় মেয়ে।
অবশ্য পবিত্র কুরআনুল কারিম লেখার কাজ শুরু করেন সায়িদা আক্বাদ ২০১৪ সালে। পড়াশুনা থেকে শুরু করে দৈনন্দিনের সব কাজ ঠিক রেখেই তিনি পবিত্র কুরআনের পাণ্ডুলিপি লেখার কাজ চালিয়ে যেতেন। তার কয়েক বছরের নিরলস পরিশ্রমে এ বিরল কাজ সম্পন্ন হয়।
সায়িদা আক্কাদ কুরআনুল কারিম হাতে লেখা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, শখের বশেই তিনি নিজ হাতে কুরআনুল কারিমের পাণ্ডুলিপি খিলেছেন। তাছাড়া ফিলিস্তিন ব্যাপক সমস্যাকবলিত একটি দেশ। ইসরাইলের সঙ্গে চলছে তাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। ইচ্ছে হলেই তো আর ঘর থেকে বের হওয়া যায় না।
এ সুযোগে পড়াশুনা ও দৈনন্দিন কাজের পর অবসর সময়টাকে কাজে লাগানোর বিকল্প হিসেবে কুরআনুল কারিমের পাণ্ডুলিপি লেখার কাজটাকে বেছে নিয়েই কাজটি শুরু করি। যা তিন বছরে সফলতার মুখ দেখে, বলেন সায়িদা।