পুলিশকে বিএনপি নেতার প্রশ্ন; এভাবে আ.লীগকে রক্ষা করতে পারবেন?
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, জেনারেল জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব ‘বীর উত্তম’ বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশ পাহারায় বিএনপির বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বেলা একটায় সমাবেশ শেষ হয়। বিএনপির এই কর্মসূচি ঘিরে পুলিশ রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়, আবদুল গনি সড়ক, কদম ফোয়ারা ও সেগুনবাগিচা এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে চলাচল সীমিত করে দেয়।
সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম পুলিশি ব্যারিকেডের কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, আজকে পুলিশের অবস্থান দেখে মনে হচ্ছে পুরো ঢাকা শহর বিএনপির দখলে। তিনি পুলিশের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা এভাবে কি আওয়ামী লীগকে রক্ষা করতে পারবেন?’
উপদেষ্টা পরিষদের আরেক সদস্য আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘এই সরকারকে আর নির্বাচন করার সুযোগ দেওয়া হবে না। আর আগের রাতে ভোট ডাকাতির সুযোগ দেওয়া হবে না। তার আগেই এই সরকারকে বিদায় করতে হবে।’ তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল করলে তাঁদের হাত পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সকালে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, পুলিশ দলের নেতা-কর্মীদের সমাবেশে আসতে দিচ্ছে না। নেতা-কর্মীদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে। পথচারীদের ফুটপাত ব্যবহার করতেও দিচ্ছে না পুলিশ।
ঢাকা মহানগর বিএনপির উত্তর ও দক্ষিণ শাখা এই সমাবেশের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান। যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
গত শনিবার প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বীর উত্তম’ খেতাব দেওয়া হয়। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর তাঁর রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিএনপি।