BreakingLead Newsরাজনীতি

পেটে যার ভাত নেই, তাকে ঘরে রাখবেন কীভাবে?

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ পরিকল্পনাহীন বলে মনে করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, যারা দিন আনে দিন খায়, তাদের খাওয়ার কি ব্যবস্থা করছেন? এই লোকগুলোকে তো ঘরে রাখতে পারবেন না। যার পেটে ভাত নেই তাকে লকডাউন দিয়ে কী করবেন। গতকাল গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের কোনো সমন্বয় নেই, কোনো পরিকল্পনা নেই, কোনো রোডম্যাপ নেই। এই যে সাতদিন দিয়েছে, তার পরে কি হবে? এখানে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে দিন আনে দিন খাওয়া মানুষজন। এটা দায়িত্ব সরকারের যে, এই মানুষগুলোকে বাঁচানোর চেষ্টা করা। যেটা সরকার করতে ব্যর্থ হয়েছে সম্পূর্ণভাবে।

তাহলে কি লকডাউনের বিরোধিতা করছেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে বলেন, না, আমরা বিরোধিতা করছি না। এখন পর্যন্ত আমরা দেখছি যে একটা অকার্যকর শাটডাউন করছে। হাজার হাজার লোকজন বেরুচ্ছে, হাজার হাজার লোক বাজারে যাচ্ছে। আবার শিল্পকলকারখানা খোলা রাখছে।

দেখুন কতটা স্ববিরোধিতা। তাহলে কীভাবে লকডাউন সফল করা যায়- প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ব্যাপারটা তো সহজ নয়, কঠিন নিঃসন্দেহে। আলাউদ্দিনের চেরাগ কারও হাতে নেই যে মুহূর্তে ঠিক করে ফেলবেন। রাজনৈতিক দল, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এনজিওগুলোকে নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করলে এই ধরনের লকডাউন সফল করা যায়। কিন্তু সরকারের সেই উদ্দেশ্যই নেই।

নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমার বাসায় যারা কাজ করেন, তাদের টেস্ট করানোর জন্য আমি গত তিনদিন ধরে চেষ্টা করছি। তারা প্রত্যেক দিন উত্তরায় একটা সেন্টারে যায়, প্রত্যেক দিন বলে যে, ফরম নাই করা যাবে না। শেষে গতকাল ভোর ৬টায় পাঠিয়েছি।

সেখানে দেখা গেছে, তার সিরিয়াল ৫০ নম্বর। বাকিরা সিরিয়াল পায় নাই। ওই সেন্টারে দেড়শ’র বেশি হয় না টেস্ট। অর্থাৎ এখানে বড় একটা প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন সরকার। জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। টেস্টের সুবিধাও কিন্তু সারা দেশে নাই। ২০টি জেলায় কোনো সুবিধাই নাই, তাদেরকে বিভিন্ন জেলায় গিয়ে টেস্ট করতে হয়।

স্বাস্থ্য বিভাগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আজকের পত্রিকায় একটা খবর এসেছে, ১০ মাস আগে এসে এয়ারপোর্টের মধ্যে বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সাহায্যে যেসব ইক্যুপমেন্টসগুলো এসেছে, সেসব ছাড় হয়নি। সেখানে ৩০০টা ভেন্টিলেটর আছে, সেখানে অক্সিজেন সরবরাহ করার সামগ্রী আছে। স্বাস্থ্য বিভাগ কতটা ব্যর্থ হতে পারে যে, এখন পর্যন্ত সেটা ছাড় করে হাসপাতালগুলোতে পৌঁছাতে পারেনি। এই সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + thirteen =

Back to top button