Lead Newsঅপরাধ ও দূর্ঘটনা

প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মকারীরা অবসরে গেলেও ছাড় পাবে না

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন যে, “কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পে তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী যারা অনিয়মের সাথে জড়িত তাদেরকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এই সভায় সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করার সময় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। সভাশেষে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা জানান।

অনিয়মে জড়িত কেউ অবসরে গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের কাউকেই পার পাবে না বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য।

পাশাপাশি অনুমোদিত প্রকল্পগুলো সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান। সভায় ৬ হাজার ৫৫১ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ের ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। যার মধ্যে চারটি নতুন এবং পাঁচটি সংশাধিত প্রকল্প।

পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক বিভাগের সদস্য মোসাম্মাৎ নাসিমা বেগম বলেন, “পাবলিক ডিমান্ড রিকাভারি অ্যাক্ট (পিডিআরএ) নামের একটি আইন আছে, যেটা দিয়ে অনিয়ম করে কেউ অবসরে গেলেও তাকে শাস্তির মুখোমুখি করা যাবে।”

একনেকের তথ্য থেকে জানা যায়, সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে মোট ২৭৫ কোটি ৪৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাস্তবায়নের জন্য ২০১২ সালের ৬ মার্চ একনেকে অনুমোদিত হয়েছিল প্রকল্পটি। এরপর দফায় দফায় মেয়াদ ও ব্যয় বাড়লেও প্রকল্পের কাজ এখনো শেষ হয়নি। চলতি বছরের শুরুতে একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পের অনিয়ম তদন্তে আইএমইডিকে নির্দেশ দেন। তদন্ত করে আইএমইডি প্রতিবেদন জমা দেয়।

এম মান্নান বলেন, “বৈঠকে আরেকটি প্রকল্প নিয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদেরকে অনেক প্রজেক্টেই দাতারা অফার করছে। কিন্তু কোনো প্রজেক্টে যদি বৈদেশিক ফান্ড না পাওয়া যায় তাহলে আমাদের নিজস্ব বিশাল রিজার্ভ আছে। এখান থেকে আমরা ফান্ড ব্যবহার করতে পারি।”

তিনি জানান, “প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শুধু কারখানার ভেতরে করলে চলবে না। কারখানা এলাকায় ইটিপি স্থাপন করতে হবে। দেশের সব এলাকায় সমান ভাবে উন্নয়ন কাজ করতে হবে। যাতে কোনো এলাকা অভিযোগ করতে না পারে আমরা অবহেলিত। এছাড়া নদী, খাল নিয়মিত ড্রেজিংয়ের নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − 9 =

Back to top button